আন্তর্জাতিক সার্কিটে অভিজ্ঞতার স্বল্পতা থাকার পরও আগামীকাল থেকে ভারতের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো পারফর্ম করার সুযোগ আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের পর সংক্ষিপ্ত সংস্করন থেকে অবসর নেন ভারতের সেরা তিন তারকা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাদেজা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তারা। তাদের অবসরের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলকে নতুনভাবে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এই সিরিজে ভারতীয় দলে থাকা খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ বাংলাদেশের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা। গোয়ালিয়রে প্রথম ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, ‘আমাদের পারফর্ম করার ভাল সুযোগ আছে এবং স্বাভাবিকভাবেই আমরা এখানে জিততে চাই। জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। স্বাগতিকদের ধরাশায়ী করতে আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’ টি-টোয়েন্টিতে ১৪ বারের দেখায় বাংলাদেশ ১টিতে জিতেছে এবং ১৩টিতে হেরেছে। ২০১৯ সালের সিরিজে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ একমাত্র জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো।
এবারও ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুর করবে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর করার পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত সংস্করনে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিততে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার কথা জানালেন হৃদয়। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আমরা সিরিজ জয়ের জন্য খেলছি। আমরা আমাদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে চাই।’
প্রতিপক্ষ ভারতকে নিয়ে কথা বলতে নারাজ হৃদয়। শুভমান গিল, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজসহ আরও বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তারুণ্যনির্ভর দল সাজিয়েছে ভারত। হৃদয় বলেন, ‘আমরা যখন কোন দলের বিপক্ষে খেলি তখন আমরা ভাবি না কে দলে আছে বা কে নেই। আমরা সবসময় নিজেদের উপর ফোকাস করার চেষ্টা করি। আমরা প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার চেষ্টা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে হারানোর সুযোগ ভালো সুযোগ আছে। ব্যাপারটা এমন নয় আমরা কখনও বড় দলকে হারাইনি। এটি এমন একটি ফরম্যাট যেখানে বড় বা ছোট দল বলে কিছু নেই। যে দল নির্দিষ্ট দিনে ভালো পারফর্ম করবে তারাই ম্যাচ জিতবে।’
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা করায় প্রথমবারের মতো এই ফরম্যাটে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগে একত্রে অবদান রাখতেন সাকিব। তার উপস্থিতিতে অতিরিক্ত ব্যাটার ও বোলার নিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সাকিবের অনুপস্থিতি তাদের দলের কম্বিনেশনে সমস্যা করবে কিনা জানতে চাওয়া হলে হৃদয় বলেন, ‘সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। আমরা অবশ্যই সাকিব ভাইকে মিস করবো। তবে আশা করছি তার অনুপস্থিতি পূরণ করতে এবং ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পারবো।’
প্রথম টি-টোয়েন্টি ভেন্যু গোয়ালিয়র ভারতের মধ্য প্রদেশের একটি শহর। এই গোয়ালিয়রেই ২০১০ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব অর্জণ করেছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো গোয়ালিয়রে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হতে যাচ্ছে।
কিন্তু টেন্ডুলকারের ঐতিহাসিক ডাবল সেঞ্চুরির ভেন্যু ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হচ্ছে না। নবনির্মিত শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করবে।
হৃদয়ের বলেন, ‘আমরা এখানে দুই দিন অনুশীলন করেছি। গ্রাউন্ড স্টাফ এবং ঘরোয়া ম্যাচ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, আমরা যা বুঝতে পেরেছি এখানকার উইকেট ধীর গতির ও নীচু।’