সম্প্রতি গণমাধ্যমের সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং হিন্দুরা এদেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাচ্ছে। এ সবই নাকি ঘটছে শেখ হাসিনার শাসনামলে।
কংগ্রেসম্যানদের উল্লিখিত চিঠির ভিত্তিতে দেশে এবং বিদেশে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার। ত্রিশ লক্ষ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের এই নোংরা ষড়যন্ত্রে আমরা মর্মাহত। একই সঙ্গে গভীর দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, জাতির জনক ও তাঁর সুযোগ্য কন্যার মানবিক জীবনাদর্শ ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাই এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য।
সংখ্যালঘুদের বিষয়ে শেখ হাসিনা নিজে কতোখানি সংবেদনশীল সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সঙ্গে তাঁর প্রতি সংখ্যালঘুদের আস্থার বিষয়টিও আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে নিয়ত উপলব্ধি করে চলেছি। এহেন মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশে-বিদেশে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, একই সাথে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও সম্প্রীতির ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির প্রতিও অশ্রদ্ধা এবং অবমাননার শামিল।
উল্লেখ্য যে, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় গিয়ে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর রাষ্ট্রিয় মদদে যে নৃশংস বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছিল তা একাত্তরের ইতিহাসকেও হার মানায়। খালেদা জিয়া-তারেক রহমান এবং নিজামী-মুজাহিদদের শাসনামলের ভয়াবহ ঘটনাবলীকে বর্তমান সময়কালের উল্লেখ করে অতিশয় ধূর্ততা ও চাতুর্যের সঙ্গে প্রচার করার অপচেষ্টা চলছে। আশা করি, সকল ধর্মের শুভবাদী মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধে এসব গুজব চিরতরে বিনষ্ট করার সময় এসেছে।
আমরা মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের অসত্য তথ্য সম্বলিত চিঠির ভিত্তিতে সুপরিকল্পিত অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।