তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ধর্মীয় উৎসব সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। তিনি ধর্মীয় উৎসবের মাহাত্ম্য ও নৈতিক শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
পরিদর্শনের শুরুতে তিনি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যান। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সেখানে তিনি দুর্গাপূজার সার্বিক ব্যস্থাপনার খোঁজখবর নেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়াও তিনি আজ রাজধানীর বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেন।
বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন ছিল না। এই অভ্যুত্থানে সকল ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়ে তা বজায় রাখতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা রমনা কালী মন্দির পূজামণ্ডপে যান। সেখানে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সবাই যেন ধর্মীয় অধিকার ও ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কোনো বৈষম্য বাংলাদেশে দেখতে চাই না উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি পূরণে সরকার কাজ করছে। সাম্প্রতিক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সরকার তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে। যারা সংখ্যালঘু হামলায় জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও উপদেষ্টা আশ্বাস দেন। তিনি সুখী-সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
রমনা কালী মন্দির পূজাম-প পরিদর্শনের পর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপে যান। সেখানে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।