দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এবং ভারতীয় হিলি ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পরিদর্শন করে বাংলা হিলি স্থলবন্দর ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করলেন ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার মনোজ কুমার। দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কারক এসোয়েশনের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ হারুন গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ১০টায় মোবাইল ফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন গতকাল ভারতীয় সরকারি হাইকমিশনার মনোজ কুমার বিকেল ৪টায় রাজশাহী থেকে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন ও আলোচনা সভা গতকাল রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত চলে।
এ সময় তাকে দিনাজপুর হিলি ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, হাকিমপুর উপজেলা প্রশাসন, হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেড ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার স্থানীয় ব্যবসাহীদের সাথে নিয়ে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত কাস্টমস পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের নিকট তাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় শ্রবণ করেন।
তিনি হিলি স্থলবন্দর চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় গিয়ে বিজিবি এবং বিএসএফের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থলবন্দরের চলমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে সহকারি হাইকমিশনার সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সেখানে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন, কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো ও কার্যক্রম পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সাথে ঘন্টাব্যাপী আলোচনা করেন। ভারতীয় সীমান্তের বিএসএফ সদস্যদের সাথে আলোচনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি পুনরায় বাংলাদেশে হিলি স্থল বন্দরে ফিরে আসেন।
পরে জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলি ডাকবাংলোয় হিলি-তুরা করিডোর কমিটির সাথে তিনি বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি করিডোর বাস্তবায়নে বাধ্যতামূলকভাবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এসময় হাকিমপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়।
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক ও হিলি কাস্টমস বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে শেষে কাস্টমস কর্মকর্তা, বন্দরের আমদানি রফতানিকারকদের সাথে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকের শুরুতে ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনারকে সংগঠনগুলোর পক্ষ হতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। বৈঠকে দুই দেশের আমদানি রফতানি কাজে সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা স্থান পেয়েছে। এছাড়া ভিসা জটিলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আলোচনাকালে তিনি বলেছেন, এই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কীভাবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করা যায় সে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন যাত্রী পারাপার বাড়ানো এবং ব্যবসায়ীসহ ভারত গমনে ভিসা জটিলতা দ্রুত নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই আমার এই সফর ভূমিকা রাখবে। হিলি স্থলবন্দরে বিদ্যমান যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, এগুলোর উন্নয়ন ঘটিয়ে দুই দেশই যেন উপকৃত হয় সেজন্য এই পরিদর্শন।
তনি বলেন, নিজে এসে না দেখলে বোঝা যাবে না সমস্যা কি রয়েছে। এখানে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করে স্থল বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হবে। ভিসা জটিলতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।