রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জনগণের সেবক হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিন, জনগণ যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।”
আজ দুপুরে নিজ জেলা পাবনায় চারদিনব্যাপী সফরের দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় সার্কিট হাউসে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকারি কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশ দেন।
সরকারের প্রতিটি টাকা যেন যথাযথ ব্যয় হয় তা নিশ্চিত করতেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এর গুণগতমান এবং নির্ধারিত সময়ে যাতে শেষ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠা করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক। এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর সার্বিক কার্যক্রম আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।”
রাষ্ট্রপতি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ ও পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় কালে সরকারি কর্মচারীরা সড়ক ও জনপথ এবং ইছামতি নদী খননসহ পাবনার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্যাদি তুলে ধরেন। পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বঙ্গভবনের সচিবগণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক কুমার মন্ডল, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এডি মো. মাজহারুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. সামিউল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আরিফপুরে পাবনা সদর কবরস্থানে তাঁর বাবা-মা ও শ্বশুর-শাশুড়ির কবর জিয়ারত করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি তার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, পরিবারের সদস্যসহ সকল কবরবাসীর আত্নার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
গত রোববার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চতুর্থবারের মতো নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁর ১২ জুন ১১টা ৪০মিনিটে পাবনা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।