কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার খামারীরা দারুন ব্যস্ত । ক্রেতাদের কাছে কোরবানীর পশু আকর্ষণীয় করে তুলতে যা যা করনীয় তাই করছে খামারীরা। কোনবানীর হাটে ভিড় এড়াতে এবং কংক্রিটের ভবনে পশু রাখার ব্যবস্থা না বেছে নিচ্ছে অন লাইন প্লাট ফর্ম। যেখানে পশু কেনা সহজ হবে এবং পশু রাখার ব্যবস্থা আছে। ঈদের আগের দিন কোরবানী দিতে নিয়ে যাবে ক্রেতা সাধারণ।
প্রাণি সম্পদ দপ্তর অনলাইন পশু কোরবানীরহাট ছাড়াও বড় বড় গো-খামারীর নিজস্ব অনলাইন প্লাট ফর্ম বিশেষ করে গরু বিক্রি জন্য কোরবানীর পশু প্রস্তুত করেছেন। খামারীরা প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করণ করছেন বলে জানায় প্রাণি সম্পদ দপ্তর।
বগুড়ায় এ বছর কোরবানীর পশুর সংকট হবে না। বগুড়ায় এবার ২২ হাজার কোরবানীর পশু উদ্বৃত্ত থাকবে এমন তথ্য দিয়েছেন, বগুড়া প্রাণি সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত জেলা প্রাণি সম্পদ কর্তকর্তা ডা: নাছরীন পারভীন। তিনি জানান, জেলার মোট ৪৪ হাজার ৩২৯ টি খামারে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৭ কোরবানীর জন্য গরু, ছাগল ,ভেড়া ও মহিষ প্রস্তুত রয়েছে। আর জেলায় এবার কোরবানীর চাহিদা ৭ লাখ ৪ হাজার ৪৬০টি । উদ্বৃত্ত থাকবে ২২ হাজার ১৩৭ টি গবাদি পশু।গত বছরের চেয়ে এবার বেশী কোরবানী হবে বলে ধারনা করছেন বগুড়া প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা।
করোনা অতিমারিতে জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর অনলাইন পশুর হাটের মাধ্যমে কোরবানী বিক্রি ব্যবস্থা করেছিলেন। অন লাইন প্লাটফর্ম দারুন জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তারই ধারা বাহিকতায় এবার বড় বড় খামারীর নিজস্ব অনলাইন প্লাটফর্ম খুলেছেন। এ্ প্লাট গুলোতে পশু ভিডিও চিত্র, স্থির চিত্র দেয়া থাকছে। খামারে গিয়ে পছন্দের কোরবানী পশু কিনছেন তার। বগুড়া ভান্ডা এ্যগ্রো‘র স্বত্বাধিকারী তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব জানান, তার খামারের নিজস্ব অন লাইন প্লাটফর্ম আছে। ফার্মে এবার কোরবানীর জন্য ১০০ ষাঁড় গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব আরো জানান ৬০ টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অবিক্রিত আছে ৪০ টি। এ গুলো কোরবানীর ঈদের আগেই বিক্রি হয়ে যাবে। তিনি ্জানান অনেক ফার্ম এখন ক্রেতাদের সুবিধার্থে বিক্রি করা গরু তা র ফার্মে রাখছেন। ঈদের আগের দিন তারা নিয়ে যাবেন। অনেকে হাটে গিয়ে গরু কিনতে অস্বস্তি বোধ করেন। হাটে যাওয়া-আসাকে , মানুষের ভিড়, গরম এড়াতে খামার মুখি হচ্ছেন। এ কারণে অনলাইন প্লাটফর্ম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বগুড়ার লাহীড়ি পাড়ার যষো পড়ার ‘কর্ষণ‘ এ্যাগ্র‘র ফার্মের স্বত্তাধিকারী আমিনুল হক ডালিম জানান, তার ফার্মে ১৬ টি গরু আছে। এরমধ্যে ৬ টি কোরবানী যোগ্য গরু। এরমধ্যে ৫ টি বিক্রি হয়ে গেছে। একটি আছে যার ওজন ৬ মণ। ডালিম জানান , তিনি নিজে গো-খাদ্য উৎপাদন করে থাকেন ফলে গো-খাদ্যের দাম কম পড়ে। বাজারের গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। গত এক বছরের বাজারের গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।