নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে অন্তর্বর্তী সরকার বাজার সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, ‘সিন্ডিকেট শনাক্ত এবং ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। যদি আপনাদের কাছে সিন্ডিকেটের বিষয়ে কোনো তথ্য থাকে, কারা দাম বাড়াচ্ছে এবং একচেটিয়া ব্যবসা করছে, দয়া করে তা আমাদের জানাবেন। সরকার অবশ্যই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে উল্লেখ করে আজাদ বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ডিমের দাম বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী। তাই ডিম আমদানিতে শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ভোজ্যতেল আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ হ্রাস এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিমের দাম সহনীয় রাখতে পাইকাররা এখন সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ডিম কিনবেন বলে জানান তিনি। আজাদ বলেন, সরকার বিভিন্ন এলাকায় খোলা বাজারে পণ্য বিক্রয় (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় আলু, পেঁয়াজ ও সবজিসহ কৃষি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি শুরু করছে।
বর্তমানে ২০টি স্থানে পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তবে বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কৃষিপণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
প্রাথমিকভাবে, সরকার ২০টি স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে ১০টি পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, খাদ্য ভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ, মিরপুর-১০, বাসাবো, বোসিলা, রায়েরবাজার, রাজারবাগ, মুগদা উত্তর, মুগদা দক্ষিণ, পলাশী মোড়, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, বেগুনবাড়ি, উত্তরখান, দক্ষিণখান, কামরাঙ্গীরচর, রামপুরা ও জিগাতলা।
এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং বিভিন্ন প্যাকেজে সবুজ সবজি বিক্রি হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।