রাজধানীতে আজ ভারী বর্ষণে অফিস ফেরত মানুষ চরম দুর্ভোগে পরে। ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। রাজধানীতে আজ বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে প্রধান সড়কসহ অলিগলির রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
দেশের ১০৯ টি পানি সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৭০টিতে নদীর পানি সমতল বেড়েছে, ৩৮টি স্টেশনে পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২ ষ্টেশনে। অন্যদিকে ২টি জেলা বন্যা কবলিত। একটি স্টেশনে পানি সমতল অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কিকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কিকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর কাছাকাছি উজানে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সময়ে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ঝালুখালি, ভোগাই-কংশ, সোমেশ্বরী ও যাদুকাটা সহ প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
অপরদিকে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু এবং মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল কমছে।
এদিকে, আগামী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১২ অঞ্চলের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।