(ছবি:সংগৃহীত)
চট্টগ্রামের রাউজানে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কসহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছে।
পবিত্র ইদুল আজহার যাত্রাকে পুঁজি করে সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে সিএনজি চালকেরা ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চরম দুর্ভোগী পড়েছেন উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী।
ভুক্তভোগী ছোট ছোট গন্তব্যে যাতায়তকারী যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কসহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সব সড়কে শৃঙ্খলা না মেনে চালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন। যাত্রী ও চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। চালক যাত্রীদের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভে অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোনো কোনো চালক ইদের অজুহাত, আবার কোনো কোনো চালক গ্যাস পাওয়া যাচ্ছেনা এমন অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। নেকটাই জিম্মি দশায় যাত্রীরা।
যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে যাওয়া রিজার্ভ সিএনজি ভাড়া ছিল ৬০০-৭০০ টাকা বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ১৩০০-২০০০ টাকা। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের নোয়াপাড়া থেকে নোয়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত ভাড়া ছিল ২০ টাকা তা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।
তাদের দাবি, হাটহাজারী বাস স্টেশন থেকে রাউজান আসা ২৫টাকা থেকে বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা। অটোরিকশায় উঠানামা (স্বল্প দূরত্ব) ৫ টাকা হলেও বর্তমানে ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সমিতির কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। এই ধরনের ভাড়া নৈরাজ্যের অপচেষ্টা চালানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুস সামাদ সিকদার বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কেউ অভিয়োগ করেনি ; আমি খোঁজ নিব।