বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, ক্রীড়া সংগঠক, প্রকাশক, লেখক ও জেমকন গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী শাহেদ আহমেদ আর নেই। আজ রাত ৭টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন সন্তান ও বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কাজী শাহেদ আহমেদ ১৯৪০ সালের ৭ নবেম্বর যশোরে জন্ম গ্রহণ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর তিনি ১৪ বছর আর্মিতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। কাজী শাহেদ আহমেদের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান সংসদ সদস্য।
মেজ ছেলে কাজী আনিস আহমেদ খ্যাতিমান লেখক ও ইংরেজি ভাষার দৈনিক সংবাদপত্র ঢাকা ট্রিবিউন এবং বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদপত্র বাংলা ট্রিবিউন এবং সাহিত্য পত্রিকা বেঙ্গল লাইটস-এর প্রকাশক। ছোট ছেলে কাজী ইনাম আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক।
বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর অলাভজনক উদ্যোগের মধ্যে আছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন। তাঁর স্ত্রী আমিনা আহমেদ একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।
বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
আজ এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংগঠক এবং বিশিষ্ট মিডিয়া উদ্যোক্তা কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে আমি শোকাভিভূত। কাজী শাহেদ আহমেদ বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ’৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে ঢাকা আবাহনীর হাল ধরেন তিনি। এছাড়াও তিনি ছিলেন আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক। সাহিত্য অঙ্গনেও ছিলো তার অবাধ পদচারণা। লেখালেখিতেও কাজী শাহেদ আহমেদ সোনালি স্বাক্ষর রেখেছেন।