জেলার কমলনগরে পর্নোগ্রাফির একটি মামলায় মনির হোসেন (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে ৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালতে আসামি মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত মনির কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের চরলরেন্স গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও স্থানীয় চৌধুরী বাজারের রুনা টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, মামলার বাদি একজন প্রবাসীর স্ত্রী (২৫)। তিনি কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আসামী মনিরের দোকানে ওই গৃহবধূ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন মেরামতের জন্য রেখে আসেন। এ সুযোগে মনির ওই মোবাইল ফোন থেকে গৃহবধূ ও তার স্বামীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি তার কম্পিউটারে নিয়ে নেয়। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে গৃহবধূর সাথে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মনির। পরে সেগুলোও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে এবং গৃহবধূকে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ তার ব্যবহৃত ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারসহ আরও দুটি ফেসবুক আইডি থেকে গৃহবধূর স্বামী এবং তার বোনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠায় মনির৷
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে কমলনগর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। একই বছরের ৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমলনগর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সফিকুল ইসলাম আদালতে মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেয়।