ছবি: সংগৃহিত
স্ত্রী তামিমা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য কোথাও কোনো ব্যক্তি ‘বাজে’ মন্তব্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন। তিনি বলেন, আপনাদের সবারই মা-বোন আছে। ওর (তামিমা) কি সুখে থাকার কোনো অধিকার নেই?
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সস্ত্রীক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন নাসির।
জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার বলেন, সে তো এখন আমার স্ত্রী। আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রাকিব সাহেব (তামিমার সাবেক স্বামী) বা যে কেউ বাজে কথা বললে আইনি ব্যবস্থা নেব।
গণমাধ্যমের প্রতি ইঙ্গিত করে নাসির বলেন, সত্যটা জেনে আপনারা নিউজ করুন। সঠিক তথ্যটা সবার সামনে তুলে ধরুন।
রাকিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, এত নাটক করার কিছু নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে এত কথা বলার তো কিছু নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তামিমা বলেন, সাবেক স্বামী রাকিবকে তালাক দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছি। ২০১৭ সালে তাকে তালাক দেই। রাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল এবং আমাদের একটি সন্তান আছে। এছাড়া, রাকিব যেসব কথা বলছেন তার সবই মিথ্যা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। কাজ করেন বিদেশি একটি এয়ারলাইনসে।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে না হতেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী পরিচয় দিয়ে রাকিব হাসান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাকে ডিভোর্স না দিয়েই আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তামিমা। এ অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন রাকিব। থানায় তামিমার সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা জানান তিনি।
জানা যায়, তামিমার সঙ্গে রাকিবের ১১ বছরের সংসারে ৮ বছরের একটি মেয়েও আছে।
এরপর এ ঘটনায় একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি। প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার নির্দেশনা চেয়ে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়।
সবশেষ ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে বুধবার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাকিব হাসান।