ছবি: সংগৃহিত
গাজর খেতে আমরা সবাই কম বেশি ভালোবাসি। তবে প্রতিটি খাবারের একটা পুষ্টিগুণ থাকে। পুষ্টিমান নিয়ে কারও প্রশ্ন না থাকলেও কাঁচা না-কি রান্না করা গাজরের পুষ্টিগুণ বেশি এ নিয়ে মতো বিরোধ রয়েছে। তবে সেটা কিভাবে খেলে শরীরে ভালো উপকার হবে সেটা জেনে নেয়া যাক।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় কাঁচা ও রান্না করা গাজরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
গাজরে বিটা ক্যারোটিন থাকে যাকে ক্যারোটিনয়েড-ও বলা হয়। রান্না করা হলে এটা শরীরে আরও ভালোভাবে শোষিত হয়। ‘অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে এ সত্যতা পাওয়া গেছে। এ থেকে জানা যায় যে, ফুটন্ত এবং বাষ্পায়ীত গাজরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যারোটিনয়েড সংরক্ষিত থাকে।
রান্না করা গাজর:
উচ্চ তাপে সবজি রান্না করা হলে এর পুষ্টিমান হারায়, এটা সত্য হলেও গাজরের বিটা ক্যারোটিনের ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। গাজর রান্না করা হলে এর ক্যারোটিনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন আরও উপকারী হয়।
বিটা ক্যারোটিন একটা প্রোভিটামিন যা পরবর্তীতে শরীরে ভিটামিন ‘এ’তে রূপান্তরিত হয়। এটা চুলের বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তির উন্নত, হৃদপিণ্ডের সুস্থতা ও ক্যানসারের উপাদান নষ্ট করতে সহায়তা করে।
কতটা সময় এটি রান্না করা উচিত?
নরম না হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে গাজর রান্না করুন। বিটা ক্যারোটিন চর্বিতে দ্রবণীয় যা উচ্চ তাপেও নষ্ট হয় না। গাজর রান্না করা হলে তা নরম হয় যা হজমে সহায়তা করে ও বিটা ক্যারোটিন সহজে গ্রহণ হয়।
গাজর টুকরা করে কেটে, কুচি করে বা ভর্তা বানিয়েও খেতে পারেন।
কাঁচা খাওয়া তবে কি ঠিক না এমন প্রশ্নও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে জানা যাক।
রান্না গাজর উপকারী মানে এ নয় যা তা কাঁচা খাওয়া যাবে না। গাজরের নিজস্ব কিছু উপকারিতা আছে যা যে কোনোভাবে গ্রহণ করলেই পাওয়া যায়।
গাজর আঁশ, ভিটামিন কে-১ ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। আঁশ পেট ভরা রাখে, পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে, পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও কিডনি পাথরের বিরুদ্ধে কাজ করে। হলদে গাজর লুটেইন সমৃদ্ধ যা চোখে ছানি পড়া থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।