আওয়ামী লীগ পরিচয়ে বাংলা একাডেমিতে চাকরি বাগিয়ে নেয়া, নিজেদের ফালতু বই সরকারিভাবে প্রকাশ করে, চুরি করা গবেষণার সুবাদে পুরস্কার বাগিয়ে নেয়া দলকানা চাটুকারগুলো এখনো বাংলা একাডেমিতে টিকে আছে কিভাবে?
আওয়ামী লীগ না করার অপরাধে(!) আমাদের মতো যাদের মেম্বারশিপ স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছিল, অবিলম্বে তাদের সকলের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ারও দাবি জানাই।
গত পনেরো বছরে বাংলা একডেমি জাতির মননশীল দালালির প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। আশাকরি আবার তা জাতির সত্যিকারের মননের প্রতীকে পরিণত হবে।
বাংলা একাডেমি থেকে কি পরিমাণ দালালি মার্কা ফালতু বই প্রকাশিত হয়েছে তার তালিকা দিবো শীঘ্রই।
অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন কেন আমি বাংলা একাডেমির বিরুদ্ধে এত ক্ষিপ্ত হয়েছি? এর কারণ হলো বাংলা একডেমি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। আমার দাদা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা। আমার বাবা কমরেড মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহ বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কারের কাজে বহু বছর এখানে বিনা পারিশ্রমিকে, বিনা সম্মানে শ্রম দিয়েছেন। সেসব কথায় পরে আসবো।
আজকে বলবো আমার প্রিয় কাব্যগুরু দ্রোণাচার্য কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা এবং বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত কিছু বই প্রসঙ্গে। কবি মুহম্মদ নুরুল হুদাকে আমি দ্রোণাচার্য বলি। কারণ তিনি দ্রোণাচার্যের মতোই নিজের কাব্য সাধনার ব্রাহ্মণসুলভ সংযম ও আশ্রমজীবনসুলভ সরলতা ত্যাগ করে রাজঅনুগ্রহ লাভের জন্য ক্ষত্রিয়ের ভূমিকায় কুরুক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং দুর্যোধন, দুঃশাসনের পাশে থেকেছেন ও বালক অভিমন্যুদের বধ করায় মদদ যুগিয়েছেন। আমাদের মতো একলব্যদের কাব্যসাধনাকে তিনি পাত্তাই দেননি কারণ আমি, বাতেন, তামান্না আমরা কেউ হাসিনাৎসির সহযোগী বা আম্মিলীগের অনুগামী নই। যাক, সেসব ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ না তুলি।
বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণা, এর উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট পাঠের জন্য। কিন্তু বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত শত শত বইয়ের মধ্যে কয়েকটির নাম উল্লেখ করছি মাত্র। আপনি নিজেই বলুন এর দ্বারা বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির কী উন্নয়ন হয়েছে। ‘শেখ হাসিনার স্বপ্নকথা’ সম্পাদনা: মুহম্মদ নুরুল হুদা, প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে (শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা): সম্পাদনা মুহম্মদ নুরুল হুদা, দীপ্ত জয়োল্লাস শেখ রাসেলকে নিবেদিত ছোটদের ছড়া ও কবিতা প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ নুরুল হুদা, গণতন্ত্রের মনোকন্যা শেখ হাসিনা শত কিশোরের শত কবিতায় জন্মদিনের শুভ কামনা, আগস্ট ২০২১:শোক থেকে শক্তি, শক্তি থেকে জাগরণ। আরও রয়েছে অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পাঠ বিশ্লেষণ, কারাগারের রোজনামচার পাঠ বিশ্লেষণ। এগুলোরও সম্পাদক মুহম্মদ নুরুল হুদা। এই পাঠ বিশ্লেষণগুলো কি কারণে? সেটা আমাকে বুঝান।
আরও আরও আরও অনেক বই রয়েছে। বিচিত্র সব অখ্যাত লেখকের। যাদের বই প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি জাতিকে ধন্য করেছে।
প্রিয় একটি মননশীল প্রতিষ্ঠান কিভাবে গার্বেজে পরিণত হতে পারে সেটাই তুলে ধরছি। আমি চাই বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার।