বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজারের মত সাংবাদিক আছে। তাদের বিষয় তালিকা প্রনয়ণের কাজ চলছে। প্রকৃত সাংবাদিকদের মূল্যায়নের জন্য তাদের প্রত্যেকে যোগ্যতা অনুযায়ী পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।
সোমবার দুপুর দেড়টায় দিনাজপুর সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম তার বক্তব্যে এ কথা গুলো বলেন। তিনি বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় কর্মরত প্রকৃত সাংবাদিকের ডাটাবেইজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। মফস্বল সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরির জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। গত এক বছরে মাত্র ২৭টি জেলার সাংবাদিকদের তথ্যসহ তালিকা পেয়েছি। ডাটাবেইজ তৈরির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে বার কাউন্সিলরের মত আমরা প্রকৃত সাংবাদিকদের সনদ দেব। সনদধারীরাই কেবল নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধরা হয়েছে স্নাতক ডিগ্রি পাস। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এই শর্ত কিছুটা শিথিল থাকবে। আগে সাংবাদিকদের নামে প্রেস কাউন্সিলে মামলা দেয়া হলে সেখানে রায়ে শুধুমাত্র তিরস্কারের বিধান ছিল। এখন সেটি সংশোধিত হয়ে ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। স্যুয়োমটো করার বিধান রাখা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ওই সেমিনারের আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন মাসুদ।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সংবাদের প্রতিনিধি চিত্ত ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা হেলাল, চ্যানেল আই-এর স্টাফ রিপোর্টার শাহ আলম শাহী, যমুনা টিভির প্রতিনিধি মাহফুজুল হক আনার, সাংবাদিক আব্দুর রহমান, নুরুল হুদা দুলাল ও জিন্নাত হোসেনসহ প্রমুখ।