ছবি: সংগৃহীত
মুহ্ তাজ
আবশ্যক ছিল না
গ্লানিটাকেই সাথে নিয়ে যাই।
মুখাপেক্ষীর মন
আশ্বাসে ঘর খুঁজে
ব্যাকুল - দিশাহারা -
সকালকে রেখে গেছে
নতজানু
বুকের বাতিস্তম্ভের কাছে।
সন্ধ্যা জড়ালে পায়ে
চিনে নিতে হয় তমসার পথ;
আস্থার হাস্নুহানা
কোনো সূর্যের মুহ্তাজ নয়।
নষ্টআগুন
সে নেশায় ডালে তার
এক ঝাঁক টিয়া।
গনগনে আঁচে বিকেলের রোদ
পুড়ে যায় উপবাসে;
মানেনি আদিম স্রোত,
কেউটের ফণা
নেচে যায় সাপুড়ের বীণে।
আকাশ আরেকটু রক্তাভ হলে
পায়ের নখর ছুঁলে
ফুটন্ত সাঁতার-পুকুর,
ডাইভিং বোর্ড থেকে
ফিরে যাও ধীরে -
পুরোনো সে ঝাঁপি, অন্ধকার।
হিম চেপে ধরো নষ্টআগুনে
বিছানায়।
কে ছিল?
মায়া? লোকভয়? রুচির শৃঙ্খল -
কার সহবাসে?
মিটিং উইথ গড
রোজকার নুড়ি পাথরে যে গান
অববাহিকার
ওই টুকু কথা নিয়ে
দেখা হয় নদীপথে;
হয়তো বা তার চেয়েও কম।
ঢেউ ঠিক ওঠে না কোথাও;
আলাপনে তর্জনীর চেনা পথনির্দেশে
উড়ে যায় দুটো গাংচিল -
তর্জমা করো যদি
ফটোকপি পাবে দাঁড়ি কমা সহ।
কোন দিকে বাঁক নেবে, আর্নব?
বড় ক্লিশে রাজনীতি, বাজারের দর, মোহনবাগান -
আবেগের প্যারাসেইলে
কাটাকুটি ডেটাফেড-চরম হাওয়ায়।
তারপর সেই একা
কাকস্য পরিবেদনায় কাকতাড়ুয়ার ভাঙা মাথা -
সংসারক্ষেতে।
অবান্তর লাগে সব।
সরে আসি
এক কোনে নির্জন প্রান্তরে
ক্লেনজারে মুছে ফেলি অনচ্ছ ত্বক।
বার্লিন গ্রীন হেডে মিটিং টেবিল -
মুখোমুখি চেয়ারেতে
ডাকি ঈশ্বর।
গ্রিম রিপার
পথ ভুলে গ্রিম রিপার
এ কোথায় এলে ?
দোদুল্য পৃথিবীর বুনো ষাঁড় কাঁধে
পতনের রোধ চায়
শীর্ন যে ছেলে
ঝুঁকে থেকে তার
আঁকড়ানো শিঙে
দোষ কৈ ?
শকুনিও আজকাল
পাশা খেলে পরে।
তার আগে সব শেষ।
কালো আলখাল্লায় ঢাকা সমস্ত দেশ
কাস্তের ধারে নিয়ে
বোমারু বিমান
ছেঁটে দিয়ে মানবতা
কাকে দাও মই ?
বিরামহীন যুদ্ধ
নিশ্ছিদ্র আঁধার
হতে পারে শান্তির ভিন্ন মেটাফর
অবিচ্ছিন্ন নীরবতা মানেই উদাসীনতার জলছবি নয়।
ইউক্রেনে রাতের আকাশ তো
তাই বলছে।
আলোক-গোলার আঁকা যথেচ্ছ প্যারাবোলায়
বেরিয়ে পড়া শ্বাদন্তে দেখেছো কি এরেকটাসের মুখ?
জেনে রাখো, জন্মলগ্নেই
ক্রোমোজোমে ছিল অবিশ্বাস আর ভয়।
ভরসা রাখা টোটেমেরও পাল্টে ফেলেছি মুখ।
যতই ফিসফিস ক'রে কথা বলো তুমি
কান পেতে আছে হারমান গোরিং।
এমন না হলে
নিশ্চিহ্ন হাজার প্রজাতির উপর
কেমন করে লিখবো আমাদের স্বর্ণাক্ষর?
বহু কলিঙ্গের পর
একটা মানুষ শুধু বুদ্ধ হয়
সে ফেরিওয়ালার বিতরিত নম্র প্রদীপ শিখা
কত আর সইবে ধকল?