সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ৩০ জুলাই। দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিযোগিদের পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠান হবে ৩১ জুলাই সোমবার।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সকাল ৯ টা থেকে দেশের ৬৪ জেলা ও মহানগর পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারী ১ হাজার ৩৬৫ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের এ জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
সাত বিষয়ে ২১ শ্রেণিতে এ প্রতিযোগিতা শুরু হবে সকাল ৯ টা থেকে। বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও দলীয় গান। এরপরই একাডেমির বটতলার বাউলকুঞ্জে পরিবেশিত হবে পূর্নিমা তিথির সাধুমেলার ১৫২ তম আসর।
বাউল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লালন গবেষক ও লেখক ড. আবু ইসাহাক হোসেন।
আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তৃতা করবেন একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো।
অনুষ্ঠানে মোট ২১ টি প্যানেলের প্রতিটিতে ৩ জন করে মোট ৬৩ জন বিচারক উপস্থিত থাকবেন। জেলা পর্যায় থেকে বিজয়ী ১ম স্থান অধিকারী জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে ১ম স্থান অধিকারী পাবেন ৩০ হাজার টাকা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট এবং ২য় স্থান অধিকারী পাবে ২৫ হাজার টাকা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট এবং ৩য় স্থান অধিকারী পাবেন ২০ হাজার টাকা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট।
এরমধ্যে, চূড়ান্ত পর্যায়ে ৬৪ জেলা থেকে আগত বিজয়ী ও ঢাকা মহানগরের ১ জনসহ মোট ৬৫ জন ১ম স্থান অধিকারী বিজয়ীগণ প্রতিটি শাখায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১ম, ২য় ও ৩য় নির্বাচিত হবেন। ৭ টি বিভাগে ২১ টি শাখায় ৩ জন করে ৬৩ জন ১ম, ২য় ও ৩য় হিসেবে বিচারকদের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত হবেন।
অন্যদিকে ৩১ জুলাই সোমবার বিকাল ৪ টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে পুরস্কার বিতরণী, পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
যেসব বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে- পঞ্চগীতিকবির গান, লোকসঙ্গীত, দেশাত্ববোধক গান, সাধারণ নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য, একক আবৃত্তি ও একক অভিনয়।
প্রতিযোগিতার সকল বিভাগে বয়সের ভিত্তিতে ৩ টি আলাদা শ্রেণী/ শাখায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শাখাগুলো হলো Ñ
ক. শাখা - ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী
খ, শাখা - ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী
গ. শাখা - (যুব) ১৭ থেকে ২৫ বছর।
দুদিনব্যাপী এ আয়োজন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ, ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। দেশের ৬৪ জেলা থেকে আগত প্রতিযোগী শিশু ও অবিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
একাডেমি সূত্র জানায়, সারা দেশে একযোগে জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিভাবান শিল্পীদের অন্বেষণ করে তাদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিস্তৃত ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম।