মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের অনলাইনে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে নিজের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন।
শাহবাগ থানা পুলিশ বলছে, তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থানার জিডিতে (নং-২৭৫) উল্লেখ করা হয়, সাব্বির সিফাত নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের একজন সাবেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিবারে (এটি সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি ফেসবুক পেজ) অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের নামে মানহানিকর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাজে প্রতিবন্ধকতামূলক কিছু পোস্ট করা হয়। এরপর নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গত ৩০ আগস্ট সাব্বির সিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিবার অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের নামে মানহানিকর একটি পোস্ট দেয়। ওই পোস্টটির একটি স্ক্রিনশট একুশে টিভি অনলাইন পেয়েছে।
পোস্টটিতে বলা হয়, ‘আইন বিভাগে অধ্যাপক কার্জন কর্তৃক প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীদের নানামাত্রিক হয়রানি করা হয়। এ বছর বর্তমান ও সাবেক প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী কর্তৃক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দায়েরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্টে নেতিবাচক পড়বে- এ আশঙ্কায় সেটি স্থগিত করা হয়। এখন আমরা সে অভিযোগ দায়ের করতে চাচ্ছি। কেউ অভিযোগে সাক্ষর করতে চাইলে অথবা পুরো প্রক্রিয়ার জন্য সামান্য যে টাকা লাগবে তা দিয়ে সহযোগিতা করতে চাইলে জানানোর অনুরোধ রইল। কেউ পরামর্শ বা অন্য কোনভাবে যুক্ত হতে চাইলেও আমরা স্বাগত জানাই।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ’র পরিচালক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন: কয়েক বছর ধরে আমি ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর টার্গেটে আছি। সম্প্রতি পেছনে লেগেছে ছাত্র শিবির। জিয়া হল শাখার ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাব্বির সিফাত দীর্ঘদিন ধরে প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনলাইনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ও অভিযোগ প্রচার করে সাব্বির সিফাত ও কয়েক জন প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষার্থী আমার একাডেমিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
তিনি বলেন: আমার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায়, বাধ্য হয়ে আমি জিডি করেছি। এ ব্যাপারে সাইবার আইনে (ডিএসএ অথবা সিএসএ) ওই প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষার্থীদের আইনের আওতায় আনার জন্য একটি এবং দণ্ডবিধির অধীনে একটি মানহানির মামলা করব।
বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে শাহবাগ থানার সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম মীর মালত বলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র আইন বিভাগের অধ্যাপকের জিডির বিষয়ে আমি তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।