নরসিংদী জেলার রায়পুরায় আজ দুটি যাত্রীবাহী বাস এবং পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৩ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নীলকুঠি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের ধনঞ্জয় চন্দ্র দাসের ছেলে সানন্দ দাস (৫৫), একই উপজেলার চৌরাগুধা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে মো. রেনু মিয়া (৬৬) এবং একই গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে মো. কামাল মিয়া (৩৫)।
ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ভোরে রায়পুরার নীলকুঠি এলাকায় একটি বিআরটিসি বাসের চাকা পাঞ্চার হয়ে সড়কের পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। এ সময় ভৈরবমুখী একটি যাত্রিবাহী বাস দাঁড়ানো থাকা বাসটিকে পেছন দিক থেকে জোরে ধাক্কা দেয়। একই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা নরসিংদীর ইটাখোলাগামী মাছভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান বাস দুটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয় এবং অপর ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহতদের ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লে ক্সে নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চৌরাগুধা গ্রামের কামাল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ এখনো ভৈরব হাইওয়ে থানায় আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে।