কর্মশালা*
গতবছর, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৪টি কর্মশালার আয়োজন করেছে বিজেসি।
এই কর্মশালা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কোড অফ এথিক্স বা সাংবাদিকতার নীতি। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন ৫০ জন গণমাধ্যম কর্মী। ২০২৩ সালের মার্চ, মে, জুন মাসগুলোতে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা বিষয়ক কর্মশালা হয়। এই কর্মশালার ইতিবাচক বিষয়, এই কর্মশালা থেকে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি প্রস্তাবিত গণমাধ্যম কর্মী আইন তৈরি করে বিজেসির ট্রাস্টি, নির্বাহী অন্যান্য সদস্যরা। ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের সাথে ট্রাস্টিরা বৈঠক করে সেই প্রস্তাবিত গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে বিজেসির প্রস্তাব তুলে ধরেন। একই সাথে, প্রত্যেকটি হাউসে গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন ভাতা, গ্র্যাচুয়েটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সুরক্ষা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে ১০ দফা পেশ করে বিজেসি।
শুধুমাত্র জনস্বার্থ সাংবাদিকতা নিয়ে কর্মশালা হয়েছে ৪ টি । আবাসিক দুটি কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন ৪০ জন সদস্য।
এছাড়াও ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোডাকশন এবং জনস্বার্থ সাংবাদিকতা বিষয়ে আরও দুটি কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন সেখানে ৪৪ জন সদস্য।
এই সবগুলো প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে
এছাড়াও ফেব্রুয়ারি ও জুন মাসে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক তৈরির জন্য বিজেসি আয়োজন করে দুটি কর্মশালা। যেখানে অংশগ্রহণ করেন সংবাদ কক্ষের ৪০ জন গণমাধ্যমকর্মী।
এছাড়াও, বিজেসির হিসাব ও অর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা রক্ষার্থে ট্রাস্টি, নির্বাহী, অফিস কর্মকর্তাদের নিয়ে হিসাব ও ক্রয় ব্যবস্থাপনার উপরে দুটি কর্মশালা হয়।
বিজেসির জন্য প্রোগ্রাম ও আর্থিক সহায়তা আনার জন্য, প্রকল্প প্রস্তাব লিখার জন্যও দুটো কর্মশালা আয়োজিত হয়।
কর্মশালাগুলো বিজেসি ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের যৌথ আয়োজনে।
শাহ আলমগীর জার্নালিজম এ্যাক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির প্রথম ন্যায়পাল শাহ আলমগীরের স্মৃতি এবং তাঁর সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানকে সম্মান জানাতে বিজেসি প্রবর্তন করেছে "শাহ আলমগীর সাংবাদিকতা উৎকর্ষ পুরস্কার"। দেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনে একটি গৌরবময় সংযোজন এ পুরষ্কার।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) সাংবাদিকতায় অসামান্য অর্জনের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য প্রতি বছর আয়োজন করে "শাহ আলমগীর সাংবাদিকতা উৎকর্ষ পুরস্কার" প্রবর্তন করেছে। এই পুরস্কার প্রতি ফেব্রুয়ারি মাসে প্রদান করা হয়। এটি সাংবাদিকতায় উৎকর্ষ সাধনে বিশেষ অবদানের জন্য প্রখ্যাত সাংবাদিকদের অনুপ্রাণিত করতে বিজেসির একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ।
অডিট
স্বীকৃত একটি অডিট ফার্ম দিয়ে বিজেসির বিগত বছরের সকল হিসেবের অডিট করা হয়।
প্রকল্প
বিজেসি ও আর্টিকেল ১৯-এর উদ্যোগে "উন্নত নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সাংবাদিকরা/Journalists with enhanced safety and security (JESS)" নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এটি এমন একটি উদ্যোগ বা কর্মসূচি, যেখানে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা জোরদার করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশকে আরও সুরক্ষিত করা এবং তাদের ঝুঁকিমুক্তভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা। এ প্রকল্পের অধীনে মিডিয়া হাউজগুলোর বার্তা প্রধান, সম্পাদক, মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ভিডিও এডিটর, রিপোর্টার সহ ১০৫ জনকে নিয়ে ৫ টি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিজেসি ফুটবল টুর্নামেন্ট
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ২৫টি মিডিয়া হাউজের অংশগ্রহণে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। এ প্রতিযোগিতাটি সাংবাদিকদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়, যা অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেসি ইবনে সিনা ট্রাস্ট এবং ইনসাফ বরকাহ হাসপাতালের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় বিজেসি সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ছাড় এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিজেসি সদস্যরা তাদের বিজেসি আইডি কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এই উদ্যোগটি বিজেসি সদস্যদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ এবং তাদের চিকিৎসা ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও বিজেসি ওয়েল বিয়িং- এর মাধ্যমে বিজেসির সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ ফোন কলের মাধ্যমে তৎক্ষনাৎ চিকিৎসা গ্রহন করতে পারেন।
বিমা:
এই সংগঠনের কারনে আমাদের ২৪১ জন সদস্য গত ৪ বছরে চিকিৎসার জন্য ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৩ টাকা পেয়েছেন। এই টাকার অর্ধেকেরও বেশি বিজেসি’র বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করেছে। আর বাকি টাকা আমরা সদস্যরা বিমা বাবদ দিয়েছি। নিজেদের এই উদ্যোগকে কম দেখার সুযোগ আছে কিনা সবাই ভেবে দেখবেন। আর বিগত দিনগুলোতে বিজেসির প্রতিটি পয়সার হিসাব তৃতীয় পক্ষ দিয়ে যথাযথ অডিট করা হয়েছে, যার হিসেব আগেও দেয়া হয়েছে, এখনো চাইলে যে কেউ দেখতে পারেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমার টাকা আমরা পরিশোধ করেছি। ২০২৪ সালে এখনো আমারা কোন প্রিমিয়াম নেইনি। নানা করনে সম্মেলন পিছিয়ে যাওয়ায় এটি হয়েছে। ২০২৪ সালে বিমা দাবিগুলো সম্মেলনের পর পুরণ করা হবে। আর ২৩ সালের অল্প কয়েকটি দাবি বাকি আছে যা সম্মেলনের দিন প্রদান করা হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়
পিক এ্যান্ড পে নামে একটি ডেইলি শপের সাথে চুক্তি করে বিজেসি, যেখান থেকে বিজেসি সদস্যরা অনলাইনের মাধ্যমে বাজারের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে।