জেলার বাজারগুলোতে শীতকালীন জনপ্রিয় ও সুস্বাদু সবজি ফুলকপি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।
জেলা সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের ডাক্তারের বাড়ির মোড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বসে ফুলকপি বিক্রির পাইকারি বাজার। বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফুলকপি নিয়ে আসেন এবং পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।
পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ছোট ফুলকপি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মাঝারি আকারের ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি এবং বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন।
খুচরা বাজারে ব্যাবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ফুলকপি কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করে থাকেন। ছোট কপি প্রতিটি কমপক্ষে ২০ টাকায়, মাঝারি আকারের ফুলকপি প্রতিটি ৩০ টাকা এবং বড় আকারের ফুলকপি প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।
ছোট আকারের ফুলকপি ৪টি'তে এক কেজি হয়। সেই হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে এই চারটি কপি'র বিক্রি মূল্য ৮০ টাকা। অথচ কৃষক এই চারটি কপি'র মূল্য পেয়েছেন ৩০ টাকা।
মাঝারি আকারের ফুলকপি এক কেজি'তে ধরে ৩টি। খুচরা বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে এই ৩টি কপি'র মূল্য ৯০ টাকা। অথচ কৃষক এই কপির মূল্য পেয়েছেন ৪০ টাকা।
অপরদিকে বর্তমান বাজারে বড় কপি কেজিতে ধরে ২টি। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই ২টি কপি ক্রয় করেন ৫০ টাকায়। ভোক্তা পর্যায়ে এই দু'টি ফুলকপি বিক্রি করছেন কমপক্ষে ১০০ টাকায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ'র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন কৃষকরা যত তাড়াতাড়ি পারেন তাদের ফসল বিক্রি করে মাঠের নজর দেন। এ জন্য বাজারে এসে অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফসল বিক্রি করে চলে যান। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে ক্রয় করেন। মধ্যস্বত্বভোগী অধিক মুনাফা'র সুযোগ পেয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা যাতে সরাসরি তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন এমন বাজার স্থাপন করা যায় তাহলে ভালো হয়। এসব বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে কেবলমাত্র সাধারণ ভোক্তারাই পণ্য কিনতে পারবেন, কোন ব্যাবসায়ীরা নয়। এই ব্যবস্থা চালু করা গেলে একদিকে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তারা কম সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি'র আবাদ হয়েছে যা থেকে ৬ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন ফুলকপি উৎপাদিত হবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।