আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জামায়াত-শিবিরকে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে নিষিদ্ধ করা হবে।
আইনমন্ত্রী জানান, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি করা হবে। সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আজ এ কথা জানান তিনি। কোন প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে- তা ঠিক করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট।
রাজনীতিতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা একমত হয়েছেন বলে গতকাল জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী অপশক্তি নির্মূল করার জন্য ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে একমত হয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির ছাত্রসংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের বেশকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসির রায় ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। তারা হলেন- দলটির সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলী। দলটির ঢাকা মহানগরীর সাবেক আমীর ও আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।