জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায় আজ সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদকৃত আমন ধান কাটা হয়েছে। সোমবার ধান কাটা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু রাসেলের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বড়াউগ্রাম উপজেলার গোপালপুর এলাকার ৫০ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হয় সমলয় চাষাবাদ স্কীম। এজন্যে কৃষকদের চারা উৎপাদনে চারহাজার ট্রে, ৫০০ কেজি ব্রী-৮৭ জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজ, সাড়ে তিনটন ইউরিয়া, ১ দশমিক ২৫ টন ডিএপি এবং ১ দশমিক ৭৫ টন এমওপি সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপন এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টরে ধান কাটার সুবিধা প্রদান করে কৃষি বিভাগ। উদ্দেশ্য কৃষকদের সংগঠিত করে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে কৃষকদের মেলবন্ধন তৈরী করা।
সুবিধাভোগী কৃষক আব্দুস সালাম জানান, তারা প্রতি বিঘা জমিতে ফলন পেয়েছেন প্রায় ২০ মণ, যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে ফলন পাওয়া যায় ১০ থেকে ১২ মণ। আগাম ফলন পাওয়ার কারনে ধান কাটার পরে জমিতে সরিষা চাষ করা যাতে, এতে মুনাফা বাড়বে অনেকগুণে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, সকল প্রযুক্তির সমাহারে গড়ে তোলা এই স্কীমকে সফল এবং মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে কৃষি বিভাগ সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করে সফলতা পেয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুফল ছাড়াও সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হয়েছে।