বৃহস্পতিবার,

২১ নভেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু শনিবার উজানের দেশগুলোর কাছে বন্যা পূর্বাভাসের তথ্য চাওয়া হবে : পানি সম্পদ উপদেষ্টা নোয়াখালীতে পানি কমছে, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টে রিট দেশের ১২ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ শেখ হাসিনা মেনন ইনুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হত্যাকান্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার হবে নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ আদালতের হবিগঞ্জের কার ও ট্রাকের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৫ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ : কক্সবাজারে বিধ্বস্ত ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি 

প্রকাশিত: ০০:৩৫, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ : কক্সবাজারে বিধ্বস্ত ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি 

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার জেলায় ৩৮হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় অন্তত ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব চেয়ে বেশি তান্ডব হয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের উপর। ছিন্ন-ভিন্ন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার কারণে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে আজ সন্ধ্যা নাগাদ পুরো জেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু সম্ভব হবে। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, সর্বশেষ তালিকায় কক্সবাজার জেলায় ৫ হাজার ১০৫টি কাঁচাঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি ঘর। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ৩৩ কে.ভি লাইনের ১৭৪টি, ১১ কে.ভি লাইনের ১৮০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। ২৩টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ৪৯৬টি স্পটে তার ছিড়ে গেছে। ১৮৩৮টি মিটার নষ্ট হয়েছে। ৮শ’টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পিডিবি ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন কক্সবাজার পৌরসভা, কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার অনেক এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। ফলে উক্ত উপজেলাসমূহের সাথে মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 
জেলা প্রশাসক জানান, চকরিয়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত ১টি ব্রিজ সম্পূর্ণ বেঁকে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান জেলায় হাজার হাজার গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে  সকাল থেকে জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কিন্তু ফোন কল ইনকামিং, আউটগোয়িং এর ক্ষেত্রে জটিলতা পুরো কাঠেনি। একই অবস্থা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে উপড়ে গেছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি। তার ছিঁড়ে রাস্তা-ঘাট ও বসতিতে পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা দিন রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বেশীর ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া সম্ভব হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার পৌরসভায় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত বিবেচনায় ১৫০ পরিবারকে এক বান্ডেল করে টিন ও নগদ এক হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত মাঠে এসব টিন ও টাকা বিতরণ করা হয়।
টিন ও নগদ অর্থ বিতরণকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।