জেলার বেলাবতে সিএনজি চালক হারুনুর রশিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শামিমা পারভিন এ রায় প্রদান করেন।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন- ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার দুবাইরজাইল গ্রামের নূর ইললামের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব, একই গ্রামের আব্দুল বাকির ছেলে ছেলাল ওরফে সালাউদ্দিন, একই গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া, একই গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে সেলাম মিয়া ও রায়পুরা মাহমুদাবাদ গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জুয়েল । এদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও সেলাম মিয়া পলাতক রয়েছে। বাকি তিনজন বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার বেলাবো গ্রামের সিএনজি চালক হারুনুর রশিদ ২০১৩ সালের ২৮ জুন সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো তার সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। একদিন পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাবো চুনাখালি ব্রিজের সংলগ্ন হোসেন আলীর বেগুন ক্ষেতের পাশের একটি ডোবার মধ্যে হাত পা বাধা অবস্থায় হারুনের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. আরিফুজ্জামান শামীম বাদি হয়ে বেলাবো থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিএনজি চুরি সূত্র ধরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হারুনুর রশিদ হত্যারকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় হাবিব, সালাউদ্দিন, রাসেল মিয়া, সেলাম মিয়া ও জুয়েল সহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
মামলার বাদি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, নরসিংদী আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর এড. এম এন অলিউল্লাহ ও এড. আসাদুজ্জামান জামান।