ফরিদপুরে মসজিদের জায়গা জবরদখলকে কেন্দ্র করে অবৈধ দখলদারের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন জমিদাতা দুলাল বেপারী। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় দুলাল বেপারীর স্ত্রী সাহানা বেগম বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কৈজুরী ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য ২শতক জমি দান করেন ওই এলাকার দুলাল বেপারী। পরে ওই দানকৃত জমি নিজের বলে দাবি করেন দুলালের চাচা মামলার ১নং আসামি কুদ্দুস বেপারী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই জমি মাপঝোক করে বুঝ করতে গেলে আসামি কুদ্দুস বেপারীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২ থেকে ৩ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র ছ্যানদা, রামদা, লাঠিসোটা ইত্যাদি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে দুলালকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
তখন দুলাল বেপারী তাকে গালি দিতে নিষেধ করলে ১ নং আসামির হাতে থাকা ধারালো ছ্যানদা দিয়ে দুলাল বেপারীর মাথার বাম পাশে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
তখন অন্যান্য আসামিরা তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা দিয়ে দুলালকে এলোপাতারি ভাবে পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আরো জানা যায়, এ সময় দুলাল বেপারী মাটিতে পড়ে গেলে তার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন আসামি কুদ্দুস বেপারী টান দিয়ে ছিড়ে নিয়ে যায়।
যার মূল্য আনুমানিক ৯০ হাজার টাকা এবং তার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই সময় দুলালের ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় দুলাল বেপারীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুস বেপারী জানান, আমি কোন মসজিদে দানকৃত জমি দখল করিনি। যা করেছি সেটা আমার নিজের জমি। দুলালের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুলাল নিজেই নিজের মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে।