বৃহস্পতিবার,

২১ নভেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু শনিবার উজানের দেশগুলোর কাছে বন্যা পূর্বাভাসের তথ্য চাওয়া হবে : পানি সম্পদ উপদেষ্টা নোয়াখালীতে পানি কমছে, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টে রিট দেশের ১২ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ শেখ হাসিনা মেনন ইনুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হত্যাকান্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার হবে নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ আদালতের হবিগঞ্জের কার ও ট্রাকের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৫ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

বগুড়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় ৪ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৪ অক্টোবর ২০২২

বগুড়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় ৪ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়ায় ধর্ষণের পর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মাহি উম্মে তাবাসসুমকে (৮) হত্যার দায়ে চার যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ রায় দেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে বাপ্পি আহম্মেদ (২৪), একই এলাকার দলিল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে কামাল পাশা (৩৭), ছানোয়ার হোসেনের ছেলে শামিম রেজা (২৪) ও মৃত সাহেব আলীর ছেলে লাভলু শেখ (২৩)। তারা একে অপরের বন্ধু। বাপ্পি স্থানীয় জিএমসি ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। কামাল পাশা মুদি দোকানদার, শামীম রেজা রাজমিস্ত্রি ও লাবলু রংমিস্ত্রি।

রায় ঘোষণার সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশিকুর রহমান সুজন।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ধুনটের নশরতপুর গ্রামে সন্ধ্যার দিকে তাবাসসুমকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখা হয়। পরে খোঁজাখুজিঁর পর ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর পুলিশ দণ্ডপ্রাপ্ত চার যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাবাসসুমের বাবা-মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সে তার বোন ও দাদির সঙ্গে গ্রামে বসবাস করত। ঘটনার দিনে গ্রামের ওয়াজ মাহফিল চলছিল।  সন্ধ্যার দিকে সেখানে মিষ্টি কিনতে যায় তাবাসসুম। দণ্ডপ্রাপ্ত বাপ্পীদের সাথে শিশুটির পরিবারে আগে থেকেই পারিবারিক বিরোধ ছিল। এ সুযোগে বাপ্পী প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।  তিনি তাবাসুমকে বাদাম কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মাহফিলের পাশের একটি কলেজের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তার তিন বন্ধুকে নিয়ে শিশুটিকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এসময় তাবাসুমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তার মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য গলাটিপে হত্যা করে বাপ্পী।

এ ঘটনায় পরের দিন  তাবাসসুমের বাবা বেলাল হোসেন খোকন অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্তে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ২৬ ডিসেম্বর বাপ্পী, শামিম ও লাভলু আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আর কামাল পাশা জবানবন্দি দেন ২৯ তারিখে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, এ মামলায় ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এতে তাবাসসুমের মরদেহে আসামিদের বীর্যের উপিস্থিতিও পাওয়া যায়। ধর্ষণ ছাড়াও ময়নাতদন্তে ওই শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে পুলিশ ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বরে আদালতে মামলার পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট জমা দেয়।

তিনি বলেন, মামলায় সব সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রোববার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর নিহত তাবাসসুমের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, আসামিদের সবাইকে আমার মেয়ে চিনত। ওদেরকে ভাই বলে ডাকতো। এই রায়ে শান্তি পেলাম আমি।