পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৩নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম মোস্তাফিজুর রহমানের (মটোরসাইকেল প্রতিক) বাসায় হামলা করে তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও প্রার্থীকে আধা ঘন্টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার হুমকি অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম সোহেল আহমেদের বিরুদ্ধে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্রোহী প্রার্থীর বাসায় এ হামলা ভাংচুর ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেন আ.লীগের প্রার্থী সোহেল আহমেদ।
জানা যায়,গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ১৭ অক্টোবর প্রতিক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়। তবে প্রচারণার শুরুতেই নৌকা মার্কার প্রার্থী সোহেলের বিরদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজ। এ ঘটনা এখন মির্জাগঞ্জে টক অব দ্যা টাউন।
বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান,এই ইউনিয়নে আমার ব্যাপক জনসমর্থন থাকায় ঈর্ষাণীত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে নৌকা মার্কার প্রার্থী সোহেল নিজেই কতিপয় বহিরাগত সন্ত্রাসী ও গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমার বাসায় ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায়,বাসার সামনে আমার সমর্থকদের বসার জন্য রাখা চেয়ার টেবিল সহ আসবাসপত্র ভাংচুর করে এসময় আমার স্ত্রী বাধা দিলে তাকে শ্লীলতাহানি করে। এসময় আমার সন্তানদের বাসা থেকে বের করে দিয়ে আমার স্ত্রীকে প্রার্থী সোহেল বলেন আধা ঘন্টার মধ্যে তোর স্বামী মোস্তাফিজকে এলকা ছেড়ে যেতে বলবি।এছাড়াও আমি সহ আমার সর্মথকদের গুম,খুন করে মেরে ফেলার হুমকি দেন আ.লীগ প্রার্থী সোহেল। মোস্তাফিজ আরো বলেন, এ ঘটনায় তিনি রিটানিং অফিসার, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা(নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট) সহ নির্বাচন পরিচালনা কারী সকল কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো সত্তে ওকোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না প্রশাসন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা মার্কা) শাহেদুল ইসলাম সোহেল আহমেদ বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য নিজেরা ভাংচুরের মিথ্যা বানোয়াট নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি বা আমার সমর্থকরা এ হামলার কোন ধরনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই।
রিটানিং অফিসার ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,‘ এ ঘটনায় দুইপক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ মৃত্যুর পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য থাকায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। আগামী ২রা নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।