বৃহস্পতিবার,

২১ নভেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু শনিবার উজানের দেশগুলোর কাছে বন্যা পূর্বাভাসের তথ্য চাওয়া হবে : পানি সম্পদ উপদেষ্টা নোয়াখালীতে পানি কমছে, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টে রিট দেশের ১২ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ শেখ হাসিনা মেনন ইনুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হত্যাকান্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার হবে নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ আদালতের হবিগঞ্জের কার ও ট্রাকের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৫ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

পলাশে জেলেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদী প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ০৩:১৪, ২ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ০৩:১৬, ২ অক্টোবর ২০২২

পলাশে জেলেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ডেকে নিয়ে মনির হোসেন (৪২) নামে এক জেলেকে বাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যা করে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উঠানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।  

শনিবার (০১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নরসিংহারচর গ্রামে নিহতের নিজ বসতবাড়ির উঠান থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

মনির হোসেন নরসিংহারচর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। মনির হোসেনসহ কয়েকজন নদীতে মাছ ধরার কাজ করতেন এবং পাশাপাশি অবসর সময়ে বিভিন্ন ইটাখলায় মাটিকাটার কাজও করতেন।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে মনির হোসেনের মোবাইল ফোনে একটি কল এলে তিনি তাড়াহুড়া করে বাইরে বের হওয়ার উদ্যোগ নেন। এ সয়য় তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম তাকে বাধা দেন ও শার্ট কেড়ে নেন। কিন্তু মনির বাধা উপেক্ষা করে স্ত্রীর ওড়না শরীরে জড়িয়েই বের হয়ে যান। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। ভোরে মনির হোসেনের বাবা জামাল উদ্দিন ফজরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হন। তখন বাড়ির উঠানে মনিরের হাত-পা বাঁধা গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে সকালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

নিহতের ছোট ভাই মহসিন বলেন, মোবাইলে ফোন করে ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে সকালে বাড়ির উঠানে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পাই। খুবই নির্যাতন করে ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের কোনো শত্রু নেই। বড় ভাই সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলাফেরা করতো। কেমনে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে খুঁজে বের করে তাঁর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ রুমান বলেন, সকালে মানুষের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি ঘরের দরজার সামনে মনিরের মরদেহ পড়ে আছে। তার হাত, পা, মুখ বাঁধা। আমরা সবাই এ হত্যার বিচার চাই।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করছে। আমরা হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।