নেত্রকোণার তিন উপজেলায় প্রবল দমকা হাওয়ার সময় মাছ ধরতে গিয়ে হাওর এলাকার পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও পূর্বধলা উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার আটপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল, মদন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ও মোহনগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
হাওরের পানিতে ডুবে নিহতরা হলেন, আটপাড়া উপজেলার দিলোয়ার হোসেন দিলু (৩২), মোহনগঞ্জ উপজেলার রাসেল মিয়া (২৫) ও মদন উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩৬)। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন গালিব গালিব আয়ান উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের বাশাউড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম ফয়সালের ছেলে ও আরমান উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, পুরো নেত্রকোণায় শুক্রবার রাতে দমকা হাওয়ার ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের কৈলং গ্রামের পাশের গণেশের হাওরের মাছ ধরতে গিয়ে প্রবল বাতাসের তোরে নৌকা থেকে পানিতে ডুবে দিলু মারা গেছেন। একই সময় মদন উপজেলার মান্দারকাটা হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে জেলে রফিকুল নিখোঁজ হয়। পরে আজ শনিবার ভোরে হাওর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্যদিকে মোহনগঞ্জ উপজেলার দরুন বানিহারী গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে রাসেল স্থানীয় ডিঙ্গাপোতা হাওরের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরে আজ শনিবার দুপুরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, জেলায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রবল বাতাস বয়ে যায়। এ সময় মোহনগঞ্জ, আটপাড়া, মদন উপজেলার হাওরের মাছ ধরতে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে পূর্বধলা উপজেলায় পৃথক স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে আরমান ও গালিব আয়ান মারা গেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এ দুজন মারা যান।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।