সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ নিয়ে ইউএনও-এসিল্যান্ডের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার (২১ আগস্ট) রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পেশকার আব্দুল হাই বাদী হয়ে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম ও শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ।
শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রাতেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পেশকার আব্দুল হাই বাদী হয়ে ৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ মামলায় অযথা কেউ হয়রানির শিকার হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ও ছবি দেখে প্রকৃত অভিযুক্তদের আটক করা হবে। এছাড়াও তারা রাস্তার ওপরে গাছের গুঁড়ি পুঁতে ও বাঁশ দিয়ে যে ব্যারিকেড তৈরি করেছিল তা অপসারণ করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি সরকারের রেকর্ড করা পতিত জমি জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এর পাশেই একটি প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ আছে। কিন্তু যে জায়গাটিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ সরকারি ও ১৯৮০ সালের সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী পতিত জমি।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি খেলার মাঠে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে রবিবার (২১ আগস্ট) প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমানসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি।
উপজেলার বলদিপাড়া-হলদিঘর খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসন জায়গা নির্ধারণ করলে স্থানীয়রা এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছিলেন।
রবিবার সকালে মাটি ভরাটের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়ে ওই মাঠে যাচ্ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান। পথে মাঠ রক্ষায় আন্দোলনকারীরা তাদের বাধা দেন। তারা গাছের গুঁড়ি পুঁতে এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেন। ব্যারিকেড ভেঙে জোর করে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে গ্রামবাসীর সঙ্গে প্রশাসনের লোকজনের সংঘর্ষ হয়।