নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ছাত্রকে বিয়ে করে আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা সহ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। নাটোর পুলিশ তদন্ত ব্যুরোর পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত হলে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মামুন হেসেনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানান, ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য তিনি তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাহিরে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে খায়রুন নাহারকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সিলিংয়ে ঝুলতে দেখেন তিনি। হাতের কাছে ধারালো কিছু না পেয়ে দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তাকে নিচে নামান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অধ্যাপক খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, তাদের ভালবাসা করে বিয়ে হয়। তাদেও সুখের সংসার বলে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। কিন্তু কেন সে আত্মহত্যা করল তা তারা বুঝতে পারছে না।
বাসার কেয়ার টেকার নিজাম উদ্দিন জানান, রাত দুইটার দিকে মামুন হোসেন বাসার বাহিরে যান। তাকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, হাসপাতালে যাচ্ছেন। পরে সকালে মামুন হোসেন বাসায় ফেরেন। কিছুক্ষণ পরে তাকে ওপরে ডাকেন। তিনি গিয়ে এই ঘটনা দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ছয় মাসের সম্পর্কের পর গত বছরের ডিসেম্বরে মামুন ও খায়রুন বিয়ে করেন। এরপর গত জুলাইয়ে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে আলোচনায় আসেন এই দম্পতি।