গত ৩১ জুলাই বিএনপির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামতে গেলে পুলিশের সাথে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোলায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদি হয়ে ভোলা সদর থানার ওসি তদন্ত আরমানসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলাটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলার সিনিয়র জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নাম্বার ৪০৫/২০২২।
মালার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাসেত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বাসেত জানান, ‘মামলা দায়েরের পর আদালত আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ অন্যান্য ডকুমেন্টারি পেপার্স আদালতে উপস্থাপনের জন্য ভোলা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন’।
এদিকে মামলার বাদী এই হত্যা মামলার তদন্তভার পুলিশকে না দিয়ে জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা র্যাবকে তদন্তভার দেয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
মামলা দায়েরের সময় ভোলা জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ভোলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার, সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বাসেত, ভোলা বারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইউসুফসহ অর্ধশত বিএনপিপন্থী আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই তেল-গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধগতি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হন।