হঠাৎ যোগেন মণ্ডল চিন্তা চর্চাকেন্দ্র গঠনের দরকার পড়লো কেনো বুঝতে পারছি না!!
আবার এই চর্চাকেন্দ্রের আহ্বায়ক হয়েছেন, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর। আমার প্রিয় একজন সম্পাদক।
পৃথিবী এখন ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইটের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। ভূপৃষ্ঠের স্বল্প উচ্চতায় এসব স্যাটেলাইট স্থাপন করা হবে, আমরা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পাবো। এটা বাংলাদেশে কতো দ্রুত আনা যায় সেটার জন্য আন্দোলন জরুরী।
এমনিতেই ইন্টারনেট নিয়ে মহা ঝামেলায় আছি। ওয়াই-ফাইও এক ঘরেরটা আরেক ঘরে পাওয়া যায় না। আর টেলিটকের নেট সেবা, মোবাইল সেবা যেনো আশিবছর বয়েসী পুরুষের অর্গাজমের মতো। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেট ব্যবসা কেনো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে না সেটাও আমার আরেক বিষ্ময়।
প্রযুক্তি বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমরা সে দিকে তাকাচ্ছি না। বৃটিশ আর পাকিস্তান আমলের যোগেন মণ্ডল নিয়ে পড়ে আছি। নতুন করে আলোচনায় আনছি।
যোগেন মণ্ডলের চর্চা সুখকর নয়। এই লোকটি জন্মমাটি আর দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিয়ে জিন্নাহর সঙ্গে রয়ে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী হয়েছিলেন।
কিন্তু তাঁর দেশপ্রেম বেশিদিন টিকে নি। পাকিস্তানের ভাইয়াদের দাবড়ানি খেয়ে তিনবছর যেতে না যেতেই ভারত চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বরিশালের যোগেন মণ্ডল পাকিস্তান রক্ষার আন্দোলনে নেমে পাকিস্তান বানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার স্থান পাকিস্তানে হয় নি। পালিয়ে ভারতের বনগাঁ গিয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করতে হয়েছিল। যোগেন মণ্ডলকে নিয়ে চর্চা করলে গদগদে ঘা বের হবে।
যোগেন মণ্ডলকে নিয়ে চর্চা করতে হলে, এই সত্য বের করতে হবে কেনো যোগেন মণ্ডলকে চলে যেতে হয়েছিল? কেনো এ দেশের লক্ষ লক্ষ যোগেন মণ্ডলরা চলে যায়? কেনো এখনো যাচ্ছে? যোগেন মণ্ডলদের সমস্যাটা কোথায়?
এই সত্য হবে অনেক টক। অনেক রূঢ়। ৪৭'এর পর থেকেই যোগেন মণ্ডলরা যাচ্ছে। ৭১'এ এসে এই 'যাওয়া' থেমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থামে নি। কেনো থামছে না এই সত্য বের হোক যোগেন মণ্ডল চর্চাকেন্দ্র থেকে। তা না করতে পারলে ইলন মাস্কের একক চেষ্টায় প্রযুক্তি দিয়ে পৃথিবী পাল্টে ফেলার কথা নিয়ে ভাবি। ইলন মাস্ক চর্চাকেন্দ্র গড়ে তুলি। যা কাজে আসবে। কারণ প্রযুক্তি মানে সামনে এগিয়ে যাওয়া। আর মানুষ লড়াই করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।