শনিবার,

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

আশ্বিন ৫ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

উজানের দেশগুলোর কাছে বন্যা পূর্বাভাসের তথ্য চাওয়া হবে : পানি সম্পদ উপদেষ্টা নোয়াখালীতে পানি কমছে, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টে রিট দেশের ১২ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ শেখ হাসিনা মেনন ইনুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হত্যাকান্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার হবে নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ আদালতের হবিগঞ্জের কার ও ট্রাকের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৫ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীল পক্ষের করণীয় ও কিছু বিষয়ের পর্যালোচনা 

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীল পক্ষের করণীয় ও কিছু বিষয়ের পর্যালোচনা 

নয়া পূর্ব পাকিস্তানে আটকে পড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাঙালি হতে না চাইলে নতুন রাজনৈতিক উপলব্ধি 

শরীর দুর্বল থাকলে বাইরে থেকে রোগজীবাণু সহজে আক্রমণ করে শরীরকে মেরে ফেলতে পারে! কিউবা বাইরের আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিল কারণ ভেতরে অনেক স্ট্রং বন্ডিং ছিল! বাংলাদেশ ভেতরে ভেতরে অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছিল বিরোধীরা যাই বলুক শেখ হাসিনা ততটা কঠোর হতে পারেননি বিধায়! বাইরের শক্তিকে মোকাবেলার আগে ঘরের রাজনীতিতে সংহত হতে হবে! বাইরের শক্তিগুলি দেশের ভেতরে তাদের পক্ষে কাজ করার লোক খুঁজতে থাকে , দেশের মধ্যে বিবাদমান যে পক্ষ নিজ স্বার্থের জন্য  দেশের স্বার্থজলাঞ্জলি দিতে  বিন্দুমাত্র ভাবে না , সহজ শিকারে পরিণত হয়! 

আমেরিকার ফিজিক্যাল উপস্থিতির আগ পর্যন্ত জেনজিরাই প্রতিপক্ষ! সামগ্রিক ভাবে জামাতি জেনজিদের মোকাবেলা করলে কান টানলে মাথা আসে , বাকি প্রতিপিক্ষের মোকাবেলা অটোমেটিক হয়ে যাবে! ২০০৮ থেকে ২০২৪ এর জানুয়ারি পর্যন্ত হারুপার্টিরা এমনকি বামরা পর্যন্ত জেনজিদের নেতৃত্ব মেনে তাদেরকে সামনে রেখেই অভ্যুত্থান করেছে! মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নতুন জেনেরেশন আসার আগ পর্যন্ত, জেনজিদের পরাস্ত করাটাই রাজনীতি ! 

২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর থেকে ২০২৪ এর জানুয়ারি পর্যন্ত বিএনপিজামাতের রাজনৈতিক পরাজয়ের ফলে দৃশ্যমান এবং ইন্টেলেকচুয়াল জায়গায় ক্রমশ : যে ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয়েছে , তা পূরণ করতেই অপরিনিত এনার্কিস্ট জেনজিদের উত্থান! ঠিক যেমন তরুণ তালেবানরা আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল ! মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্করা একই ঘটনার জাস্ট পুনরাবর্তী ঘটিয়েছে ! ১৯৭১ সালে জামাতের ভূমিকা এবং ২০০৪ সালে ২১স্তে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কারণে বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় বিএনপিজামাতের রাজনীতি সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ থাকতো ! 

কেন জেনজি:
২০০৮ সাল থেকে বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে যার শুরু , ২০২৪ এর অগাস্টে তার একটা ফল পেলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি! 

২০০৮ থেকে জঙ্গিদের দমনের মাধ্যমে চরম সশস্ত্র জঙ্গিদের শেখ হাসিনা কোনঠাসা করেছেন! 

এরপরের ধাপে শিবিরের ক্যাডার উইংটাকে কোনঠাসা করা হয়েছে!

মানবতার বিরুদ্ধে  অপরাধের বিচারের নাধ্যমে জামাতের তাত্ত্বিক এবং মূল নেতৃত্বকে কোনঠাসা করা হয়েছে!

২০১৪ , ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে কোনঠাসা করা হয়েছে! 

এখানে লক্ষণীয় যে ২০২৪ এর নির্বাচন ঠেকানোর জন্য জনগণের মধ্যে লুক্কায়িত যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেক সময় ভাণ করে , তারা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে ! যেমন লেখক , সাংবাদিক , শিল্পী হিসেবে নিজেদের পরিচিতি আছে যেমন শায়ান , ফারুক ওয়াসিফ , অমিতাভ রেজা , মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী ! এবং দেশে বিদেশে অনেক অনেক বামের বেশে জামাতি আইডোলজির প্রচারক বুঝে বা না বুঝে ! লক্ষণীয় যে তাদের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যায় নারী বামাতি রয়েছে! কিন্তু তারা ফেইল্ড !

ওয়েটিং ফর গডোর জন্য অপেক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি এবং পুরোনো সব জেনারেশনকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে জেনজিদের (যাদের কোন অভিজ্ঞতা বা গভীর আন্ডারস্ট্যান্ডিং নেই ) কিন্তু বোকা হঠকারী বেয়াদবির সাহস বিদ্যমান ! যাদেরকে সহজে সামনে ঠেলে দেয়া যায় ! যারা জাস্ট এনার্কিস্ট হতে পারবে !

আমেরিকায় আন্ডার ১৮ দের সামনে সবাই অসহায়! তাদেরকে বড়দের মত করে ত্ৰিত করা যায় না ! অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়াটাও কঠিন! ৫ জন পুরুষ মারা গেছে শুনলে মনে যে প্রতিক্রিয়া হয় ২ জন শিশু মারা গেছে শুনলে তার প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ ! তাই শেখ হাসিনা সরকারের দিকে জিহাদি স্লিপার সেলের ট্রেইন্ড অনধিক পঁচিশ বছরের জেনজিকে সুইসাইডাল  টেন্ডেন্সিতে সামনে ঠেলে দেয় , সে পরিণত হয় জাস্ট বোমায় !

ইনক্লুসিভ সোসাইটি গঠন করা যাচ্ছিল না - তখন প্রকৃতি যেন এনার্কি দিয়ে সব ঘেটে  দিয়েছে -  নতুন করে শুরু করার প্লাটফর্ম তৈরী করেছে  …
ইউনুস , আসিফ নজরুল , মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী এরকম কয়েকজন ছাড়া জেনজির আগের পরাজিত প্রজন্মদের কারো সাথে কূটতর্ক করে সময় নষ্ট না করে শক্তি ক্ষয় রোধ করতে হবে! 
সবাই ইতিমধ্যেই পক্ষভুক্ত হয়ে পড়েছে, সামনে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘন ঘন পক্ষ পরিবর্তন হতে থাকবে!

জেনজিদের শুভাকাঙ্খীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্নধার করা হচ্ছে যেমন মাহবুব মোর্শেদ !

২০১৩ সালের কওমি মাদ্রাসার যেই ছেলেটা শাপলা চত্বরে এসেছিল , ২০২৪ এ সে এসেছে শাহবাগ এ আন্দোলন করতে , তাদের একজন হতে! এই কয় বছরে সে তার জানার ঝুলিতে অনেক কিছুই পুড়েছে , অভিযোজিত হতে চেয়েছে!  এই দেশেই তাকে থাকতে হবে , বিদেশ যাবার সম্ভাবনা তার অনেক কম. , সে বুঝেছে !

নতুন দুই উপদেষ্টা হবার পরে তাদের তৈরী রাজনৈতিক দল অন্তত জনগণের কাছে অপরিচিত মুখের মনে হবে না! ত্রিশোর্ধ তাদের সাহায্যকারী অন্য যে কারো থেকে তাদের বড় দায়িত্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশি হবে! স্বভাবতই আওয়ামীবিরোধী শিবিরে ত্রিশোর্ধরা আর তেমন গুরুত্ব পাবেন না!

বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয়টা জেলার প্রচুর লোক প্রচন্ড বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিরোধী নোয়াখালী দাঙ্গায় জড়িত ! এই ছাত্রদের সমন্বয়ক অনেকেই এই অঞ্চলের লোক ! কুমিল্লায় অনেক বৌদ্ধ বিহার ছিল! এই বৌদ্ধরা কনভার্ট হয়ে মুসলিম হয়েছে! সেন শাসনামলে বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার মুসলিম হবার পরেও হয়ত তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় !

ক্ষত্রিয়রা (যোদ্ধা) ,সাধারণ ভাবে রাজা (সরকার) হয়! তাই জেনজিদের প্রতিনিধি হিসেবে নাহিদ এবং আসিফ , কারো কাছে ব্যাপারটা অস্বাভাবিক ঠেকছেনা ! জেনজিদের আগের প্রজন্মগুলি যেন জাস্ট অবসোলিট হয়ে জেনজিদের সাথে মার্জ হয়ে গেছে! আসিফ নজরুলের মত লোকেরা বয়সে বড় হয়েও আচরণে যেন জেনজি!! জেনজিদের আচরণ রপ্ত করতে হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসকে! তিনি সংখ্যালঘুর উপর আক্রমণকে বলেছেন , জেনজিদের আনন্দ প্রকাশ! অথচ আবু সাঈদের বাড়ি গিয়ে কেঁদে বুক ভাসান , জেনজি নাহিদের কান্না দেখে তিনিও জেনজি হয়ে যান ! ওয়াকিং ডেড বা অন্য জোম্বি সিনেমায় দেখা যায় , একজন জোম্বি অন্য কাউকে কামড়ালে তিনিও জোম্বিতে রূপান্তরিত হন! এই জোম্বি ভাইরাসের উৎপত্তি সম্ভবত জামাত-শিবির ল্যাবে ! তাদের আপ্ত বাক্য   “আমি রাজাকার” !

জেনজিদের আগের প্রজন্মগুলো কিছু না বুঝলে শিক্ষক , বড় ভাইবোন , বাবামায়ের কাছ থেকে জানতো ! তাদের প্রতি সম্মান আসতো ! কিন্তু এখন কি হিচ্ছে? জেনজিরা এখন সেকেন্ডের মধ্যে গুগল করে যেকোন বিষয় জেনে নিচ্ছে! বয়স কম হওয়ায় বাবামায়ের থেকে , শিক্ষকদের থেকে শক্তি ও উদ্দীপনাও বেশি  , পক্ষান্তরে বাবামা বা শিক্ষকরা তাদের মত ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে এত এক্সপার্টও নন! তাই জেনজিদের তাদের আর জ্ঞান শূন্যতার জন্য প্রয়োজন  হচ্ছে না !

বাবামা বা সাধারণ শিক্ষকরা ধর্মীয় জ্ঞানের ক্ষেত্রেও গুগলের থেকে কুরআন , হাদিসের বেশি রেফারেন্স দিতে পারেনা ! তাই শিক্ষকদের অপমান করে পদত্যাগ করানোতে তাদের কিছুই মনে হচ্ছে না ! আমেরিকায় ছাত্রদের পড়াশোনা ও আলাদা আর্থিক বেনিফিট দেয়া হয়  ! এটা পেলে শিক্ষকদের মত বাবা মায়েরাও তাদের জেনজি ছেলেমেয়েদের হাতে অপদস্ত হবেন , তা নিশ্চিত করেই বলা যায়! আমেরিকায় অনেক বাংলাদেশি বাবামা এখন জেলে আছেন সন্তানদের কারণে!

হাইপেশিয়া ইন্সিডেন্টের প্রত্যাবর্তন : পরিবর্তন হলেই তাকে ভালো কেন বলতে হবে? হাইপেশিয়া , তিনি ছিলেন মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরির কিউরেটরের মেয়ে ! হাইপেশিয়া ছিলেন একজন দার্শনিক , ম্যাথমেটিশিয়ান , মহান শিক্ষক ! গণঅভ্যুথান বা বিপ্লবের নামে তাকে আলজান্দ্রিয়ায় ধর্মোন্মাদ খ্রিস্টান মব টেনে ছিঁড়ে ফেলে নির্মম ভাবে হত্যা করে! মিসরের খ্রিস্টানরা কপ্টিক খ্রিস্টান হিসেবে পরিচিত ! আজ সেই মিসরে কপট খ্রিস্টানদের উত্তরপুরুষদের বেশিরভাগই মুসলিম ! জ্ঞানবিজ্ঞানে আলেকজান্দ্রিয়া বা মিসর আর কখনোই পূর্বের স্থান ফিরে পায়নি! 

জেনজি এফেক্ট : ২০২৪ এর বেয়াদবির,  এই এনার্কির নাম জেনজি এফেক্ট যে কারণে  আওয়ামীলীগ বিরোধী শিবিরে পঁচিশোর্ধ সবার গুরুত্ব হারিয়ে গেছে! আসিফ নজরুল বা ইউনুস এই জেনজিদের প্রতিনিধি ! তাদের নিজস্ব প্রজন্ম গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে! 

পঁচিশোর্ধ কারো সাথে তর্ক না করে আনফ্রেন্ড বা ইগনোর করে জেনজিদের , যাদের বয়স বর্তমানে পঁচিশের কম , তারাই মূল শক্তি বা সোলজার তাদের সাথে আসলে মূল লড়াই! এদের আগের সব প্রজন্ম মূলত এদের মুখাপেক্ষী , ফুটফরমাস খেটে দেবার কাজে নিয়োজিত ! 

জেনজিদের ছাড়া জামাতবিএনপি অচল! 
কিন্তু জেনজিদের জামাতবিএনপির পঁচিশোর্ধদের আর প্রয়োজন নেই! বয়স্কদের থাকে জ্ঞান যা তরুণদের থাকেনা বিধায় বয়স্করা গুরুত্ব পায়! মোবাইলে গুগলে এক ক্লিকে এখন যেকোন জ্ঞানী ভাব ধরা মুরুব্বীকে ধরাশায়ী করে দেয়া যায়! 

জিঞ্জিরা প্রাসাদে নবাব সিরাজুদ্দৌলার মা আমেনা,মা সরফুন্নেসা,  খালা ঘষেটি বেগম, সিরাজের স্ত্রী লুৎফুন্নেসা ও তার শিশুকন্যা সবাইকে  বন্দী করে রাখা হয়। বন্দি করে  পরবর্তীতে ঘষেটি বেগম ও আমেনা বেগমকে নৌকায় করে বুড়িগঙ্গা নদে ডুবিয়ে মারা হয়। জিঞ্জিরা কারাগারের মত জেনজিরা বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে বন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবিয়ে মারার ব্যবস্থা করছে! 

নতুন রাজনীতি 

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির প্রতিপক্ষ : জেনজিদের মধ্যে জামাতশিবির প্রভাবিত অংশ!

রুমি , শায়ানরা শেষ ব্রিগেড এন্টি  আওয়ামীলীগ এবং যাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভক্তিশ্রদ্ধা,আবেগ আওয়ামীলীগের মত প্রবল নয়   ২০০৮ সালের পরে হেফাজত , জামাত , ২০১৪ জামাত  ২০১৮ বিএনপি , ২০২৪ জানুয়ারির নির্বাচনে শেষ কালচারাল ফ্রন্ট ও ছদ্ম প্রগতিশীলদের গানের শোভাযাত্রা পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে গেলে এন্টি  আওয়ামীলীগ এবং যাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভক্তিশ্রদ্ধা,আবেগ আওয়ামীলীগের মত প্রবল নয় পক্ষের জন্য প্রয়োজন হয়ে পরে নতুন শক্তির , নতুন রাজনীতির ! যেভাবে উত্থান ঘটেছিল যুদ্ধাপরাধী জামাতকে বাঁচাতে তথাকথিত অরাজনৈতিক শক্তি হেফাজতের (যে  সংগঠনের প্রতিটি কর্মী কোন না কোন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত)! 

জনমানুষের আকাঙ্খার জায়গা থেকে নীতি -সেভেন সিস্টার্স - বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা ইসলাম কোনটা হবে অঞ্চলগুলো জোড়া লাগার মাধ্যম বা আঠা:

বাংলাদেশ , আরাকান, ভারতের সেভেন সিস্টার্স , ঝাড়খন্ড  ও বিহারের কিছু অংশ নিয়ে বাংলা (পুরাতন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বেশির ভাগ অঞ্চল) নিয়ে রাজনৈতিক ভূখণ্ড গঠনের আকাঙ্খার প্রেক্ষাপটে বাঙালি জাতীয়তাবাদ  বনাম ইসলাম কোন আঠা এই ভূখণ্ডগুলি জোড়া দেয়ায় কার্যকর হতে পারে: 

বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলা ভাষাভাষী সবাইকে একত্রিত করতে সহজ , পক্ষান্তরে ইসলামকে ব্যবহার করলে , বিশাল জনগোষ্ঠীর বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হবে! যেহেতু সেভেন সিস্টার্স , পশ্চিম বঙ্গ , অন্য বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল নিয়ে বাংলা গঠনের আলাপ চলছে! যদি সব অঞ্চলের বাঙালিরা এতে আগ্রহী হয় তবে প্রগতিশীলদের কোন সমস্যা নেই! তবে তা কখনোই ধর্মের দিক থেকে না হয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে হতে হবে , বাঙালিদের প্রথম জাতিরাষ্ট্রের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা হলে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়! 

এতো নারী সব বয়সের , সব ধরণের , ২০২৪ এর তথাকথিত আন্দোলনে কিন্তু সক্রিয় ছিল : বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত নারীদের বেশ বড় একটা অংশ কেন বিএনপি সাপোর্ট করে তার সুলুক সন্ধানের চেষ্টা!

তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য :
১. নিজের বাইরে তেমন ভাবে না , এইগুলা আমার বিষয় না তাদের বেশিরভাগের মনোভাব!
২. নিজের উপর বা সন্তানসম কারো উপর আঘাত আসলে রুখে দাঁড়াতে পারে! ছোট ছোট শিশু এবং ছাত্রদের মৃত্যু তাদেরকে রাস্তায় বের করে এনেছে! 
৩. অন্যের বিশেষ করে নিজের সম্পির্জায়ের কেউ অর্থসম্পদের মালিক হলে সে ঈর্ষান্বিত থাকে এবং সেও সেরকম সম্পদশালী হতে চায় , কেড়ে নিয়ে হলেও ! গণভবন , সালমান এফ রহমানের বাড়ি লুট   , বিসিএসের ঘুষের চাকরি পাবার জন্য তার সেরকম চেষ্টা ! 

এদের বৈশিষ্ট্য থেকে কিছু সিনড্রোম সাজেস্ট করা যায় ;

খালেদা জিয়া সিনড্রোম:
বাঙালি মেয়েদের বিশেষ করে মধ্যবিত্ত , টেন্ডেন্সি হল তাদের বাইরের সব কাজ ছেলেরা করে দেবে! ঘরের কাজ সব করবে কাজের লোক! খালেদা জিয়া মিছিল , মিটিং সব করতেন অন্যের লেখা কাগজ পড়ে পড়ে! এরা বিদেশে আসবে জামাইর মাধ্যমে! জামাই তাদের সব করে দেবে! আর যেসব মেয়েরা নিজের যোগ্যতায় বিদেশে যায় , বেশিরভাগ ডিভোর্স হয় নাহয় তারা বিদেশির সাথে থাকে বা বিয়ে করে! “ওরে সাম্পান ওয়ালা “, তাদের কারো হাত ধরে হেথায় না হেথায় না অন্য কোনখানে চলে যেতে বিল্টইন তাড়না আছে ! তবে এটার পরিবর্তন শুরু হয়েছে! ডেটে গেলে ছেলেকেই সব বিল দেবার দিন হয়ত শেষ হয়ে আসছে!

খালেদা জিয়া মডেল দিয়ে জেনজিদের আগের মধ্যবিত্ত বাঙালি নারীদের সাইকি বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে! তারা ধর্মেও আছে , জিরাফেও আছে. (এই মডেল সবার জন্য প্রযোজ্য না , পরুষদের নিয়েও এরকম মডেল খুবই স্বাভাবিক )!

তসলিমা নাসরিন সিনড্রোম:
আন্তর্জাতিক , আঞ্চলিক(সার্কের দেশগুলো ) ও দেশীয় রাজনীতি না জানার কারণে তারা সহজেই কোটা প্রোপাগান্ডায় পা দিয়েছে! যেমন তসলিমা নাসরিন ! ডাক্তার , প্রগতিশীল , ভালো মানুষ কোন সন্দেহ নাই! কিন্তু রাজনীতি না বোঝার ফলে উনিও কোটা আন্দোলনকে সরল বিস্বাসে বিশ্বাস করেছেন!  পোস্ট দিয়ে উনি নিজেকে বোকা বলতেছেন !

তসলিমা নাসরিন অনেক মেধাবী , প্রগতিশীল , সব মানুষের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার ! জ্ঞান বা আবেগটা হল ঐশ্বরিক ব্যাপারে মত ! পৃথিবীর ঊর্ধ্বে লাওহে মাহফুজে তার অবস্থান ! এখন তাকে পৃথিবীতে প্রয়োগ করবেন কিভাবে ! তাত্ত্বিক পদার্থ বিদ্যা এরকম লাওহে মাহফুজের জ্ঞান! আর তাকে প্রয়োগ করার জন্য আছে প্রায়োগিক পদার্থ বিদ্যা ! রাজনীতির প্রায়োগিক জ্ঞান ছাড়া আপনি ইহকালে কোন জ্ঞানই প্রয়োগ করতে পারবেন না ! আপনি যত বড় মহা জ্ঞানী মহামানবই হন না কেন! নারীরা যখন দেখছে একের পর এক তাদের সহপাঠীরা মরছে , ( স্নাইপার ব্যবহার করে হয়েছে অনেক যা সুষ্ঠু ইনভেস্টিগেশনে বেরিয়ে আসার কথা) , শিশুরা মরছে , তাদের অধিকার (বৈষম্যমূলক কোটা ) আদায় হচ্ছে না , তখন তারা ফুঁসে উঠে রাস্তায় বেরিয়ে  আসে ! গৃহিণীরা তাদের সন্তানদের মরতে দেখে ,দুর্নীতির টাকায়  অন্যদের বিলাস বহুল জীবন যাপন দেখে ফুঁসে উঠে রাস্তায় বেরিয়ে আসে ! তাদেরকে বলা যায় তসলিমা নাসরিন সিনড্রোম আক্রান্ত ! কারণ তাদের দেশের অভ্যন্তরীন , আঞ্চলিক (সার্কভুক্ত দেশ সমূহ ) ও আন্তর্জাতিক (আমেরিকা , রাশিয়া ও চীন ) প্রায়গিক রাজনৈতিক জ্ঞান থাকতো    এই দেশগুলোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও অভিসন্ধি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতো তাহলে তাদের বেশির ভাগ হুজুগে মেতে উঠতো না ! নিজেকে রাজাকার ( যারা পাকিন্তান সরকারের বেতনভুক্ত রেগুলার খুনি ধর্ষক বাহিনী ছিল) বলে ঘোষণা দেবার প্রশ্নই উঠে না !

ছাত্রী সংস্থা বা ছাত্রদলের নারী কর্মীরা ছাড়া ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় সহ এতো নারীরা এই আন্দোলনে সক্রিয় হয়েছে , নিজেকে রাজাকার বলতেও দ্বিধা করেনি এর কারণ তসলিমা নাসরিন সিনড্রোম!

শায়ান সিনড্রোম :
বিদেশে জন্ম , উচ্চমধ্যবিত্ত বা  উচ্চবিত্ত , দেশে থেকেও চিন্তা ভাবনা রুচি সব বিদেশী সাদা বাচ্চাদের মত (এইটা ঔপনিবেশিক কারণে না , বাংলাদেশ ওই প্রভাব এই সামাজিক ক্ষেত্রে অনেকটাই পার হয়ে এসেছে , এইটা আমেরিকার উন্নত জীবনযাপনের প্রোপাগান্ডা , সিনেমা , ইংলিশ মিডিয়াম ছেলেমেয়েদের কুল আচরণ ) শায়ানের মধ্যে অসাধারণ শিল্প প্রতিভা আছে! কিন্তু পুরোটাই শেকড় ছাড়া! তার গান সমালোচনামূলক , কিন্তু কেন জানি শেকড়ের সন্ধান পাওয়া যায়না ! কোন উচ্চাশার কথা বলে না , দেশাত্মবোধ বা ইতিহাস অনুপস্থিত ! জোনায়েদ সাকির গণসংহতি    অমিতাভ রেজা , মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী এরা সবাই কম বেশি শায়ান সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ! এরা বর্তমানকে নিয়েই শুধু কথা বলতে চায় , যে বর্তমান ইতিহাস ভবিষ্যতহীন ! এদের মানসিক বয়স পঁচিশের বেশি নয়! তাই জেনজিদের সাথে তাদের এতো মিল ! তাদের যুক্তি ঘরে আগুন লেগেছে , এখন ঘর থেকে আগে বের হতে হবে , বিকল্প দেখার সময় কই ! শায়ানের যদি মানসিক বয়স পঁচিশের বেশি হত তিনি দেখতে পেতেন , ঘরের মধ্যেই ফায়ার বন্ধ করার জন্য শেখ হাসিনা এক্সটিঙ্গুইসার ব্যবস্থা করে রেখেছেন ! শায়ান গান দিয়ে জেনজিদের সেই জ্ঞান না দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে জেনজিদের বের করে দিয়েছেন ! অথচ আগুন  নিভিয়ে ঘরের মধ্যেই থাকা যেত ! ঘরের কোন বিকল্প রাস্তা নয়! আগুন লাগলে তার ব্যবস্থা করতে হয়! প্রয়োজনে আরো উন্নততর ব্যবস্থাই তার সমাধান! কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে বের হয়ে যাওয়া নয় !
যে শিল্প সমাধান খোঁজার পরিবর্তে শুধু এনার্কি তৈরী করে তা কোনক্রমেই কাম্য নয় !

শায়ান কেন জেনজিদের সাথে? এই প্রশ্নের উত্তরেই মিলবে অনেক প্রশ্নের উত্তর , মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর পুরুষদের এবং বিশেষ করে নারীদের মধ্যে বিরাট একটা অংশ কেন বিএনপি করে ? বিএনপির সাইকি কি? উপদেষ্টা নাহিদের বাবার যে ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে ? তাতে দেখা যাচ্ছে ধানের শীষে ভোট চাওয়া হচ্ছে ! বিএনপি হচ্ছে বিবিএ দল ! ব্যবসা চালাতে গেলে এক চিমটি একাউন্টিং, এক চিমটি ব্যবস্থাপনা প্রায় সবকিছুই এক চিমটি করে লাগে! কিন্তু কোন বিষয়ই ডিটেল জানতে চায়না! পুরোটাই বৈষয়িক , এরকম মানুষ বিএনপি বেশি করে !

তৃণমূল পর্যায়ে ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থানের কিছু কারণ : সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ফলে বামপন্থী সংগঠনগুলি ছাত্র সংগঠনসহ দুর্বল হয়ে পরে! তৃণমূল পর্যায়ে ধর্মান্ধ কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা বামপন্থীরা হীনবল ও কোনঠাসা হয়ে পরে! যেই দরিদ্র ভালো ছাত্ররা বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের প্রতি আকৃষ্ট হত , তারা ওহাবী সৌদি পেট্রো ডলারের প্রলোভনে ধর্মান্ধ শ্রেণীর সংখ্যা বাড়াতে থাকে! সোভিয়েত ইউনিয়নের বিনামূল্যে রাদুগা প্রকাশন মস্কোর জায়গা নেয় বিভিন্ন ধর্মীয় পুস্তক , কিশোরকণ্ঠ , সাইমুম সিরিজ!

বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর বার্ষিক প্রোগ্রাম গুলোয় সাংস্কৃতিক নানা কর্মকান্ড হত ! সেখানে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলো গানবাজনা একপ্রকার নিষিদ্ধ বস্তু বানিয়ে ফেলে! সৌদি আরবে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা ওহাবী মতাদর্শ নিয়ে ফিরে এসে গান বাজনা নিষিদ্ধের পালে হাওয়া লাগায় ! সৌদিআরব প্রদত্ত পেট্রো ডলারে দেশের আনাচে কানাচে হাজার হাজার মাদ্রাসা গজিয়ে উঠতে থাকে ! সব কিছু মিলিয়ে সংস্কৃতিমনা লোক তৈরী হওয়ার মেকানিজম ধ্বংস হয়ে যায়! একমাত্র সংখ্যালঘুরাই শেষ ভরসা হয়ে যায় শিল্পী তৈরির উৎস হিসেবে!

উপদেষ্টা নাহিদ যদি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে বলে থাকে , তাহলে কিছু বিষয় পর্যালোচনার বিষয় আছে! 

বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছে যারা তারা ব্যতীত বাকি সব প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিশ্বের সব শহরে ঘেটো বানিয়ে  গন্ডির মধ্যে বাস করে আরাম পায় !  ভীনগ্রহে গেলে পৃথিবীবাসী এক হয়ে পৃথিবী সমিতি হয়ে এক হয়ে যাবে! ঢাকায় বরিশাল সমিতির মত , প্রবাসে শহরে শহরে আছে বাংলাদেশ সমিতি , মঙ্গোলগ্রহে হবে পৃথিবী সমিতি , এমনি ভাবে মিল্কিওয়ে সমিতিও হতে পারে! 

১৬ বছর ধরে আওয়ামীলীগের লুটপাটের কথা বললে তার আগে ২০০১ থেকে মিস্টার ১০% হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের যুগে যে দুর্নীতির পরপর বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বে দ্য নম্বর হয়েছিল তার কথা না বলায় বোঝা যায় ওই সময়ের জামাতবিএনপি তাদের পূর্বসূরি হওয়ায় তার কথা বলছেনা ! তাহলে এরা কারা বোঝাই যাচ্ছে! 

চীন যে তাইওয়ান সহ যে সব ভূখণ্ডের দাবি করে তার ভিত্তিতো চাইনিজ জাতীয়তাবাদ !

জেনজিদের ছাড়া জামাতবিএনপি অচল! 
কিন্তু জেনজিদের জামাতবিএনপির পঁচিশোর্ধদের আর প্রয়োজন নেই! বয়স্কদের থাকে জ্ঞান যা তরুণদের থাকেনা বিধায় তরুণরা 

আমেরিকায় বসে চল্লিশ বছর পরেও রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট জেতার থেকেও আওয়ামীলীগ জিতল না বিএনপি জিতল তা এখনো কেন কারো কাছে মানসিক শান্তির ব্যাপার? ছেলেমেয়ে কিন্তু অলরেডি নিজেদের আমেরিকান ভাবে! তারা হয়ত রাশিয়ান না চাইনিজদের প্রতি বৈরী ভাব পোষণ করে , তাদের নাতির পুতিরা হয়ত মঙ্গোল গ্রহে পৃথিবী সমিতি তৈরী করবে! 

লালসালুর মজিদ এখন  ব্রিটিশদের সাপোর্ট (দালালি) করার জন্য সাংবাদিক মওদুদীর তৈরী কর্পোরেট রাজনৈতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জামায়াতে ইসলামী করে! 

তিতুমীরের পরিবার নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরিবারের মত ছিল শিয়া ! কিন্তু উনি ওহাবী মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কট্টর ওহাবী হয়ে ওঠেন!  মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পরিবারও ছিল শিয়া , নামাজ পড়াও জানতেননা ! সেই তিনি মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের জাতির পিতা !

কর্পোরেট ইসলাম বিবিএ ডিগ্রীর মত ! ধর্মেও আছে , জিরাফেও আছে! তারা প্রয়োজনে মিথ্যা বলতে পারে , ইহলৌকিক ভাবে ভালো থাকার জন্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে শুধু নামাজ পড়ে এবং তার য়হরকেও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কর্মসূচি পালন করে পরকালে বেহেশতে চলে যাবে! 

কিন্তু সুফিবাদী মুসলিমকে তার আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটাতে হয়! জামাতি ওহাবী সালাফিরা ওয়াক্তি নামাজ পড়ে বেহেশতে যাবার স্বপ্ন দেখলেও  একজন সুফী তরিকায় বিশ্বাসী পড়েন দায়েমী বা 
অনবরত নামাজ! তারপরেও তিনি নিশ্চিত নন আল্লাহ তার ইবাদত কবুল করল কিনা! লালসালুর ধূর্ত মজিদ  
জামাত শিবির করে নির্ঘাত উপদেষ্টা হয়ে যেত ! সংসদ অধিবেশনে সংসদের মধ্যেই ক্যামেরার সামনে জনগণকে দেখিয়ে নামাজ পড়ত !

মুক্তমনা জ্ঞানবিজ্ঞানপ্রেমীরা যারা আওমিঘেঁষা তারা কি করবে?

বাংলাদেশের সমাজে উগ্র ডান , উগ্র বাম , নাস্তিক , আস্তিক সব মিলেমিশে একাকার হয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আওয়ামীলীগ বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের মাধ্যমে ভারসাম্য এনে ইনক্লুসিভ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আওয়ামীবিরোধী সমাজ গঠনের সুযোগ তৈরী হওয়ায় , আওয়ামীলীগঘেঁষা মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারীদের অনগ্রসর সমাজকে সাথে করে এগিয়ে নেবার আর কোন দায় রইলনা ! শেখ হাসিনা কওমি সনদের মান দিয়ে , পাঁচশ মডেল মসজিদ মাদ্রাসা বানিয়ে দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে তো দিয়েছেনই ! বাকিটা আনু মুহাম্মদ আর জুনায়েদ সাকিরা করুক! তাদের মত করে ইনক্লুসিভ সমাজ তৈরী করুক !

আনু মুহাম্মদ আর জুনায়েদ সাকিরা ইনক্লুসিভ সমাজ নির্মাণের দায়িত্ব নিয়ে নেয়ায় মুক্তমনাদের নয়া পূর্ব পাকিস্তানের জন্য চিন্তা না করে পৃথিবীর সবচাইতে কারেন্ট বিষয়াবলী এবং বিজ্ঞানের দিকে আরো একনিষ্ঠ ভাবে মনোযোগী হয়ে জ্ঞানবিজ্ঞানে অবদান রাখার চেষ্টা করতে হবে , নয়া পূর্ব পাকিস্তানের জন্য জুনায়েদ সাকি আর ফ্রড মজহারের মত ইসলামী ডানপন্থী বামপন্থী মজলুমদের ত্রাতারা আছেন!

যেহেতু জেনজিদের প্রায় সবাই জামাতশিবির বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত , সবার জন্য আরোপিত জামাতবিএনপি ব্যাকড  কুশিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে তাই আওমিঘেঁষা প্রগতিশীলদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইন্টারন্যাশনাল মানদণ্ড ছুতে চেষ্টা করা উচিত ! পুরো দেশের মানুষ তালেবানি শাসন চায়! সো গিভ দেম দ্যাট !

প্যাশন আর প্রফেশন: কর্পোরেট ইসলাম ফলোয়াররা যেমন জামাতিরা তারা পেশা হিসেবে বিজ্ঞান চর্চা করে , কিন্তু কখনোই বিজ্ঞানমনস্ক হতে পারেনা , কারণ এটা তাদের প্যাশন নয়! প্যাশন থাকলে টুডে অর টুমরো জামাতের আদর্শের সাথে বিজ্ঞানমনস্কতার সংঘাত অনিবার্য !

পর্বতারোহীরা চূড়ায় ওঠার জন্য ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়! তারা শরীরের সাথে উচ্চতার খাপ খাইয়ে নেবার জন্য কৌশলের আশ্রয় নেয় ! যেমন একটা পয়েন্ট থেকে আরো ৩০০০ ফুট উঠল , তারপর তারা কয়েকশ ফুট নিচে নেমে আসবে ! তাতে শরীর তুলনামূলক ভাবে নিচের দিকের বেশি অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে এডজাস্ট করার সুজোগ পায় ! বাংলাদেশের সেকুলার প্রগতিশীল শক্তি  দেশের বিরাট সংখ্যক মৌলবাদীদের মজলুম নাম দিয়ে আদিখ্যেতার পর্বে সেই এডজাস্টমেন্টের কাজটিই করেছে , এখন আবার সামনে এগিয়ে যেতে হবে! মৌলবাদী অপশক্তি পেছনে পরে থাক!

বিএনপিও দুর্নীতি করবে , যেহেতু আওয়ামীলীগ অনেকদিন করেছে! 

ওকে , প্রগতিশীলিতা  বলতে কন্টেম্পোরারি পৃথিবীর যে স্ট্যান্ডার্ড , তা দেশে কতটুকু প্রযুক্ত করতে চেষ্টা করে কোন দল তার উপর ভিত্তি করেই স্বাধীন চিন্তকরা তাদের সাপোর্ট নির্ধারণ করে! বিএনপির গঠনের সময় যে প্রাক্তন মুসলিমলীগের মনমানসিকতা ধারণ করা শুরু হয়েছিল তা দেশকে ধর্মীয় রাষ্ট্রই বানাতে চায়!  ! আওয়ামীলীগ কওমি সনদ দিয়ে ও ৫০০ মডেল মসজিদ বানিয়ে দিয়ে বিরাট সংখক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অন্তত খাওয়াপড়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে! সামগ্রিক ভাবে দেশকে বিএনপির মত পেছনে না নিয়ে প্রগতি বা আন্তর্জাতিক মানের অভিমুখে গতিটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে!

জয় বাংলা স্লোগান  এবং  বঙ্গবন্ধুকে নাকি আওয়ামীলীগ কুক্ষিগত করে রেখেছে , অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়না ! 
বেশির ভাগ বর্ণচোরা এখন শেখ মুজিব বলে! তার ভাস্কর্য ভাঙার বিরোধিতা করে আওয়ামীলীগ ছাড়া  কয়জন পোস্ট দিয়েছে?  পিনাকীর মত অনেকেই জয় বাংলা স্লোগানকে ধ্বংস বোঝাতে ব্যবহার করে! এখন আওয়ামীলীগ ছাড়া কয়জন জয়বাংলা বলে? এইসব ভণ্ডামি আজ প্রমাণিত !

ইনিয়ে বিনিয়ে অন্যরা যাই বলুক , বঙ্গবন্ধু ও বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে অন্যদের ভূমিকা দেখেই বলা যায়.   মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ ও সমমনারাই!

শিল্পী , সাহিত্যিক , খেলোয়াড় এরা সবাই পেট্রোনাইজেশনে চলে ! পেট্রোনাইজেশনের অভাব নালন্দার মত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবার অন্যতম কারণ ! রবিউলের মত সবাই আদর্শবাদী অভিনেতা হতে পারে না ! মূল ফোকাসটা জামাতবিএনপি , সমন্বয়ক আর হিজবুত তাহরীরের দিকে থাকতে হবে! জয়ের দিকে যেতে থাকলে শিল্পী, সাহিত্যিক , সাংবাদিকরাও ঘুরে যাবে! আখতারুজ্জামান আজাদ, বাঁধন বা তিশা যেমন ! কিন্তু মূল ফোকাস না থাকলেও প্রত্যেকের কর্মকান্ডের রেকর্ড থাকলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো!