বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক সহ-সভাপতি মনজুরুল বারী নয়ন, ক্র্যাবের সাবেক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ও ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য ও ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভসহ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব।
ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢালাওভাবে পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঢালাওভাবে মামলা না করতে বারবার নির্দেশনা দিলেও একটি মহল উদ্দেশ্যেপ্রনোদিতভাবে সাংবাদিকদের নামে মামলা করাচ্ছে। যা অনাকাক্ষিত এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়। পেশাদার সাংবাদিকদের হেনস্থা করার জন্যই এভাবে হত্যা মামলায় তাদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ও তদন্ত ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে থানায় থানায় গণহারে আসামি দিয়ে মামলা রেকর্ড করায় প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। এমন মামলা অতীতের পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছে ক্র্যাব। এভাবে ঢালাও মামলায় আসামি করা হলে সংস্কার ও পরিবর্তনের যে কথা বলা হচ্ছে তা ব্যাহত হবে।
স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ। নেতৃবন্দ এই তিনজন ছাড়াও যেসব পেশাদার সাংবাদিকদের বিরম্নদ্ধে মামলা হয়েছে। তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আর দ্রুত মামলা প্রত্যাহার চেয়েছেন। এই তিনজন্ সম্মানিত ও সিনিয়র ক্র্যাব সদস্যের বিরম্নদ্ধে রাজধানীর ভাষানটেক ও যাত্রাবাড়ী থানায় পৃথক দুটি মামলায় তাদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢালাওভাবে এ ধরনের হত্যা মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ।