গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে কমলা খাতুন (৬৫) নামে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ঘটনায় কমলা খাতুন নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মোছাম্মৎ কমলা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের পানাগারী গ্রামে। গ্রামেই তার লাশ দাফনের কথা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনায় দগ্ধ হওয়া মশিউর রহমান (২২) নামে আরও একজন মারা যান। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান ইয়াসিন আরাফাত (২১) নামে আরও একজন।
নিহত গার্মেন্টস শ্রমিক মোঃ ইয়াসিন আরাফাতের বাড়ি কুষ্টিয়ার গোফ গ্রামে ও গার্মেন্টস শ্রমিক মশিউর রহমানের বাড়ি লালমনিরহাটের পারুলিয়া গ্রামে।
মশিউরের এক স্বজন সানোয়ার হোসেন জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাটে হাতিবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম হামিদুল মিয়া। স্ত্রী শাহানা আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন মশিউর। স্থানীয় এটিএস অ্যাপারেলস নামে পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ঘটনার দিন গার্মেন্টসের কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার সামনে জটলা দেখে সেখানে এগিয়ে গেলে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ হন মশিউর।
গত ১৩ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৬ জন দগ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৌচাক তেলির চালা এলাকায় শফিক খানের বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ওই বাড়ির রান্নাঘরে শ্রমিকরা রান্না করছিলেন। ইফতারের আগ মুহূর্তে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে একটি পরিবারের সিলিন্ডারের গ্যাস ফুরিয়ে যায়। নতুন আরেকটি সিলিন্ডারে সংযোগ দেওয়ার সময় সেটিতে আগুন ধরে যায়।