প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর ঢাকার উদ্দেশ্যে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে তিনি সম্মেলনে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ২৭ আগস্ট সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ২২ আগস্ট রাতে জোহানেসবার্গে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কোভিড-১৯ মহামারী এবং পরবর্তী বিশ্বব্যাপী বিধিনিষেধের উত্থানের পর এটিই প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন যা সশরীরে আয়োজিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্মেলনে যোগ দেন।
২৩ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।
পরে তিনি আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে’ যোগ দেন। বিকেলে তিনি হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ব্রিকসের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় ভোজ’-এ যোগ দেন। ২৪ আগস্ট, তিনি ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ‘ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ - ফ্রেন্ডস অফ ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ)- এর সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেন।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে শেখ হাসিনা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসি, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট ডক্টর সাইমা সুল্লুুহু এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফের মধ্যেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন বলেন, বৈঠকে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সন্ধ্যায় তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।