সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে আরো উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান ক্রয় করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের টেবিলে উত্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও ফোর্সেস গোল ২০৩০ অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মোট আটটি স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান এবং নৌবাহিনীতে বর্তমানে দুইটি সাবমেরিনসহ ছোট-বড় ৬৫টির অধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনীর দুইটি হেলিকপ্টার ও চারটি মেরিটাইম এয়ারক্রাফট রয়েছে। বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে আরো উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান ক্রয় করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’
তিনি বলেন, বরাদ্দের উপর ভিত্তি করে নৌবাহিনীতে পর্যায়ক্রমে ফ্রিগেট, করভেট, অফসোর পেট্রোল ভেসেল (ওপিভি), মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (এমসিএমভি), লার্জ পেট্রোল ক্রাফট (এলপিসি), ওশান টাগ, হারবার টাগ, ওয়েল ট্যাংকার, লজিস্টিক শিপ, ফ্লোটিং ক্রেন, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল ও হোভার ক্রাফট সংযুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারি দলের অপর সদস্য খ: মমতা হেনা লাভলীর মৌখিক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে কোনো ভূ-কম্পন জরিপ কেন্দ্র নেই। তবে, এর অধীনে বর্তমানে দেশের ১৩টি স্থানে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আছে। স্থানগুলো হচ্ছে, -ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, পঞ্চগড়, বরিশাল, খাগড়াছড়ি ও নেত্রকোণা। এছাড়াও টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ২০২৩ সালে দেশের ৬টি স্থানে ঢাকা, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর ও কুমিল্লা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) স্থাপন করা হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকি অঞ্চল বিবেচনায় জিপিএসসহ ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।