বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতৃবৃন্দদের বলেছেন শূন্য পদ পূরণ করতে। দলীয় নেত্রীর নির্দেশ মত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান ১৭ এপ্রিল ২৫ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটির অংশ করে নেন। নতুন তের জন সম্পাদকীয় এবং ১২ জন কার্যনির্বাহী সদস্যের মধ্যে অনেকের নামেই রয়েছে দুর্নাম। তারমধ্যে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ভক্ত খান শওকত ছিলেন অন্যতম। তিনি নতুন কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪মে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ খান শওকতকে দল থেকে আপাত বহিষ্কার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অভিযোগ ছিল, খান শওকত জামাত এবং বিএনপি ঘেষা সাম্প্রদায়িক মানুষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সাম্প্রদায়িকতার কথা ছড়িয়েছেন। গণমাধ্যম কর্মীর তথ্যের ভিত্তিতে তাকে উপপ্রচার সম্পাদক পদ হতে অব্যাহতি দিয়েছি।
বহিষ্কৃত খান শওকত বলেন, আমি নোংরা রাজনীতির শিকার। আমার সঙ্গে ঈর্ষাবসত এ কাজ করা হয়েছে। গত পয়লা বৈশাখে আমি আয়োজক এবং অভিবাসীদের বলেছি পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করতে। আমি কাউকে জোর করিনি অনুষ্ঠানে না যেতে। আমি মুসলমানদেরকে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সচেতন করতে চেয়েছি। হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি মুসলমানদের পালন করা উচিত নয় বলে জানিয়েছি। আমি সাম্প্রদায়িকতা করলাম কিভাবে?
কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ও লেখক মাহবুব রহমান বলেন, খান শওকত বছর পহেলা বৈশাখের আগে পয়লা বৈশাখ বিরোধিতা করে ফেসবুকে এবং মানুষকে কল করে সার্বজনীন এ উৎসব সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছেন। আমার পোস্টে এক মন্তব্যে তার সাম্প্রদায়িক এবং বাংলা সংস্কৃতি বিরোধী মনোভাবের বহিপ্রকাশ ঘঠেছিল। গত বছর নিউইয়র্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঠিক তারিখে হওয়ার বিরোধীতা করেন এই ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামিলীগ থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন খান শওকত! যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামিলীগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।